অবতক খবর,২৪ জুন,অভিষেক দাস,মালদা: এবারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রার্থী দিতে পারলো না বিজেপি। এজন্য শাসকদল তৃণমূলের ভয়-ভীতি দেখানো ও সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি শুভময় বসু। তিনি বলেন, বিজেপির কোনও মুখ নেই, যাতে ওরা সব আসনে প্রার্থী দিবে। প্রার্থী না পেয়ে এখন তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ টি আসনের মধ্যে ১৮১০ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি। অর্থাৎ ১৪০৬ টি আসনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী দিতে পারে নি বিজেপি। এছাড়াও মালদার ১৫ টি পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ৪৩৯ । সেখানে ৩১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। বাকি ১২২টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে নি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে এখন রাজনৈতিক বিতর্ক । তবে মালদা জেলা পরিষদের মোট ৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যাদের মধ্যে কয়টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী রয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর মালদার বিজেপি দলের সাংসদ খগেন মুর্মু।

এদিকে মালদায় বিজেপির প্রার্থী পদে এত বিপুল পরিমাণ আসন ফাঁকা থাকায় দলের অন্দরে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বিজেপির একাংশ নেতৃত্বের বক্তব্য , আসলে এবারের প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব কোনোরকম মনযোগই দেয় নি। বিভিন্ন বুথস্তরে মিটিং করা এবং জনসংযোগ বাড়ানোর ব্যাপারেও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তারজন্য গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়েই এতটাই সমস্যায় পড়তে হয়েছে । যদিও এবারে বিরোধী দল বলতে বিজেপির যেভাবে নিজেদের স্থান বজায় রেখেছে, সে ক্ষেত্রে মালদা জেলায় এত বিপুল পরিমাণ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী দিতে না পারায় এখন দলের জেলা নেতৃত্বের একটা বড় অংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।