সংবাদ মূলত কাব্যঃ একটি অপরিপক্ক লিখন–
ঘটনা ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

এসপি-এস ডি পিওর মায়ের সঙ্গে কথা
তমাল সাহা

দোলুয়াখাকি গাঁয়ে ঘরবাড়ি দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়ালি হয়ে গেছে।

এসপির মায়ের সাথে কথা বলি।
মা! তুমি কি প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম দিয়েছিলে?
কেন এ কথা বলছিস তুই?
তোমার ছেলে বোধ করি অন্ধ, তুমি বুঝতেই পারোনি। সে বলেছে মাত্র কটা গোয়াল ঘর পুড়েছে এই আর কী! অথচ আমরা দেখে এলাম শোবার ঘর খাট বিছানা বইপত্তর সব পুড়ে ছাই। তা হবে গোটা কুড়ি মাথাগোঁজার ঠাই। পুরুষরা সব পাড়াছাড়া। ছেলেপুলেদের চোখে ভয়। ওদের খাওয়া-দাওয়া হয়নি।

মা বলে, সে কী!
ওই যে বামনগাছির বাঙালবুড়ির মোড়ে একটা মসজিদ আছে না, ওখানে একটা খুন হয়ে গিয়েছে তো! সেই খুনের ঘটনার থেকে চার কিলোমিটার দূরে দোলুয়াখাকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

মা বলে, আচ্ছা! ওতো এসপি। ঘরে ফিরুক। ওকে জবাবদিহি করবো। ও কেন মিথ্যা কথা বলেছে? ওকে তো আমি কোনদিনও এমন শিক্ষা দিইনি। আর ওই বা এছাড়া কী বলবে? মায়ের দীর্ঘশ্বাস পড়ল।

এসডিপিও-র মায়ের কাছে যাই। দরজায় কড়া নাড়ি। মা এসে দরজা খুলে দেয়।
মা! একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
আগে ঘরে এসো, তারপর কথা হবে।

মা তোমার ছেলে কি ছোটবেলা থেকেই মস্তানি শিখেছিল?
কেন, এ কথা বলছ কেন তুমি?
ওই যে জয়নগর দোলুয়াখাকি গ্রাম যেখানে ঘরবাড়ি আশ্রয় সব পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা সেখানকার মানুষগুলো অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানকার ঘটনা নিজের চোখে দেখতে বিরোধী দলের মানুষজনকে তোমার ছেলে মস্তানি করে ঢুকতে দেয়নি।

এ কী করে সম্ভব? না, হতেই পারেনা। ওতো মস্তান নয়, ওতো এসডিপিও, নিরাপত্তা রক্ষী!
আচ্ছা! বাড়ি ফিরুক, ওর একদিন কী আমার একদিন!

এরপর পুলিশ মন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম।
পরে মনে পড়ল পুলিশ মন্ত্রীর মা নেই।
তাই মাঝপথে ফিরে এলাম।