অবতক খবর,১৪ নভেম্বর: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে চলছে দীর্ঘদিনের বিভাগ। একদিকে প্রধান নুরী বেগম অপরদিকে অঞ্চল সভাপতি আবদুল সাত্তার। এবার এই পুরো বিষয় নিয়ে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের দ্বারস্থ হলেন প্রধান এবং পঞ্চায়েতের ১৯ জন সদস্য। তাদের অভিযোগ আব্দুল সাত্তার রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদেরকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তারা বিধায়ক হামিদুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। তারা অঞ্চল সভাপতিকে চান না। অঞ্চল সভাপতি আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগ চান। বিধায়কের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমলাকাও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সইফুল ইসলাম কেঁদে ফেললেন। বর্তমান অঞ্চল সভাপতি এর কারণে তিনি বাড়ি ছেড়ে শিলিগুড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে বিধায়ক এর বাড়ি যান বলে তিনি জানান। একা ধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বর্তমান অঞ্চল সভাপতি এর বিরুদ্ধে খুব উগরেদেন।এরপরই বিধায়ক তৃণমূলের কনভেনার মইনুদ্দিন কে পঞ্চায়েত সদস্যদের দেখার জন্য দায়িত্ব দেন। এদিন আব্দুল সাত্তারের বিরুদ্ধে খুব উগ্রদায়ন প্রধান নুড়ি বেগম। অপরদিকে এই পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক হামিদুর রহমান।

তবে এই বিষয়ে কমলাগাও সুজালী অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার জানান কোন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের উপরে কোন জড়জুলুম অত্যাচার করা হয়নি যা কিছু বলছে সমস্ত কিছু মিথ্যেও ভিত্তিহীন। আজকে যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা বিধায়কের বাড়ি গেছেন তারা যেতেই পারেন সেই আমাদের বিধায়ক । তাতে আমাদের কোন অসুবিধা নেই। বাকি যে সমস্ত অভিযোগ তারা করছে সবকিছু মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে জানান অঞ্চল সভাপতি আব্দুস সাত্তার। চলুন কি বলছে দুই পক্ষে শুনে নেওয়া যাক।