অবতক খবর,২১ জুলাই: হালিশহর ২ ওয়ার্ড সপ্তর্ষি ক্লাব সংলগ্ন অঞ্চলে এক ব্যক্তি করোনা রোগে আক্রান্ত। ফলে ওই ব্যক্তির পরিবারকে এই অঞ্চলে প্রায় এক ঘরে করে ফেলা হয়েছে। এটা যে একটা সামাজিক অত্যাচার, এর ফলে যে ওই পরিবারটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তা বুঝতে পেরেছেন অঞ্চলের বিজ্ঞান কর্মীরা।

বিজ্ঞান দরবার সংস্থার অন্যতম ব্যক্তিত্ব স্বপন শীল ওই বাড়ির করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কুশল জানতে যান, তাকে সহযোগিতা করতে যান। ওই অঞ্চলের প্রতিবেশীরা ওই বাড়িটিকে রীতিমতো বয়কট করেছেন। যখন স্বপন শীল এই রোগাক্রান্ত ব্যক্তিটির বর্তমান অবস্থা কি জানতে যান তখন পাড়ার কিছু ব্যক্তি তার প্রতি গালিগালাজ, তিরস্কার করতে থাকেন। স্বপন শীল বলতে চান যে, করোনা রোগ একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যেকোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। ‌ তাকে মানসিকভাবে সাহস জোগানোর দায়িত্ব মানুষের। বিশেষ করে প্রতিবেশীদের তার পাশে থাকা উচিত। তাকে মানসিকভাবে সাহস যোগানো উচিত এবং সুস্থ করে তোলা উচিত। তার পরিবর্তে তাকে সমাজ বিচ্ছিন্ন,পাড়া বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়। ‌এই কথাটি স্বপন শীল পাড়ার প্রতিবেশীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।

করোনা সংক্রান্ত যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এর জন্য সমাজকল্যাণে ব্রতী এই বিজ্ঞানকর্মীরা কাজে নেমে পড়েছেন। প্রশাসনিকভাবে তাদের সাহায্য করা উচিত এবং পৌর প্রশাসন ওই সমস্ত এলাকায় প্রচার দিতে পারেন যে, এতে আতঙ্কের কিছু নেই। তারা সর্ব রকম সহযোগিতা করবেন। তারা প্রতিবেশীদের পাশে আছেন। এটি প্রশাসনিকভাবে করা দরকার।

কিন্তু সমাজকল্যাণে ব্রতী এই বিজ্ঞান কর্মীরা এই ঘটনার পরেও দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেন যে, এইভাবে তিরষ্কার করে তাদের রুখে দেওয়া যাবে না। তারা জনকল্যাণে মানুষের পাশে দাঁড়াবেনই। অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো,তাকে মানসিক ভাবে সহযোগিতা করা, তার মনে সাহস যোগানো তাদের কর্তব্য।

উল্লেখ্য, হালিশহর ৩ নম্বর ওয়ার্ড আচার্য্যপাড়ায় যে মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর তাকে বিজ্ঞান দরবারের কর্মীরা সংবর্ধনা জানিয়েছেন।