অবতক খবর,২৭ অক্টোবর,বাঁকুড়া:- করোনা পরিস্থিতিতে ছিল স্কুল বন্ধ, ছোট্ট অন্বেষা খেলাধুলা বাদে নিত্যদিনের সংগ্রামে পাশে দাঁড়িয়েছিল বাবা-মায়ের।
বাড়িতে নিত্য অভাব। অন্যদিকে প্রায় দু’ বছর স্কুল বন্ধ। এই অবস্থায় কি করবে ভেবে কূল কিনারা না পেয়ে অভাবী বাবা-মায়ের কাজে হাত লাগালো একরত্তি মেয়ে। বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গড়দরজার বাসিন্দা, পরিমল দেবী গার্লস হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী অন্বেষা ঘোষ প্রতিদিনই দেখে পরিবারের অসহায় তার চিত্র। বাবা স্বরুপ ঘোষ অনেক পরিশ্রম করে তাদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দেন। বাবাকে এই কাজে সাহায্য করেন মা-ও। দুজনে মিলে কিছু জিনিস ক্রয় করে এবং মাটির বিভিন্ন জিনিস নিজেরাই তৈরি করে বিষ্ণুপুর দরবারে লালজিও মন্দিরের সামনে একটি তাবু বিছিয়ে প্রতিদিনই বিক্রি করেন তারা।
বাবা-মায়ের এই কষ্ট দেখে ছোট্ট অন্বেষা করোনা আবহে যে কটা দিন বাজারঘাট খোলা থাকে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে নিজেই চলে আসে পোড়া মাটির জিনিস বিক্রি করার জন্য । অবশেষে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে স্কুল খোলার জন্য ছোট্ট অন্বেষা বলছেন এবার বাবা-মায়ের কষ্ট হয়ে যাবে তবুও লেখাপড়ার ফাঁকে যতটুকু সময় পাবো মা-বাবার পাশে এসে দাঁড়াবো।