অবতক খবর,২৮ মার্চ: করোনা শব্দটি থেকে কারণ শব্দটি এসেছে কিনা জানিনা। তবে করোনার আক্রমণের ফলে এই অঞ্চলে কারণ বারির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।

আমি কি কারণ করি পান বিনা কারণে? করোনা করেছে ঘরবন্দি মা! দিয়েছে অবসর মাথা রাখি তোর চরণে। কারণে দিয়েছি মন তোরে স্মরণে।এ দুঃসময়ে এর চেয়ে আর কী মহাপ্রসাদ আছে তোকে নিবেদনে!

কারণ বারি অর্থাৎ মদ থেকে প্রচুর সরকারি রাজস্ব আদায় হয়। সেখানে বাধা পড়েছে। করোনার কারণে মদের দোকানগুলি প্রায় সমস্ত বন্ধ। বুদ্ধিমান যারা তারা প্রয়োজনমতো লকডাউনের ঘোষণার পরেই যতটা সম্ভব করোনাকে স্মরণ করে কারণ বারির বোতল তুলে নিয়েছে। তার মানে মদের বোতলও ঘরবন্দি- লক গাউন হয়েছে অনেক বাড়িতে। কিন্তু যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই তারা সেটা পারেনি।

ফলত,গত কয়েকদিন থেকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে কারণ বারি বা মদের বোতলের কালোবাজারি চলছে। ৪০০ টাকার যে বোতল সেটি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন সমস্ত খবর আসছে।

মদ পিপাসু কয়েকজন ব্যক্তি নিজেরাই বললেন, করোনা দিয়েছে প্রচুর অবসর, চুপচাপ কি আর ঘরে বসে থাকা যায়! ওই পাঁচজন মিলে ৪০০ টাকার একটা বোতল ১২০০ টাকায় কিনে আজ একটু মজলিস করলাম। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। এই ঘটনা প্রায় সব অঞ্চলেই ঘটে চলেছে।

কারণ এমনিতেই আমরা দেখি সকালে দোকান খুললেই দোকানে ভিড় জমে যায়। মদে আসক্ত লোকের সংখ্যা বহুল মাত্রায় বেড়ে গেছে।

কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখানো হচ্ছে সে কিভাবে নিজেকে স্যানিটাইজ করছে। হাত ভালো করে স্যানিটাইজারে মুছে পরিষ্কার করে নিয়ে একটা পরিষ্কার গ্লাস নিচ্ছে, তাতে তার প্রয়োজন মাফিক মদ ঢেলে জল মিশিয়ে পানপাত্রটি পূর্ণ করে নিচ্ছে, নিয়ে সে গলাধঃকরণ করে নিচ্ছে পুরো মদ। বলছে, আমার বাইরেও স্যানিটাইজেশন হয়ে গেল ভেতরটাও স্যানিটাইজ হয়ে গেল। এইভাবে করোনার সঙ্গে সে লড়ছে। এই রকম কয়েকটি ভিডিও চালু হয়েছে বাজারে।

যাই হোক, এখানে বহাল তবিয়তে কালোবাজারিরা মদের কালোবাজারি করে যাচ্ছে। তাদের কয়েকজনের সাথে দেখা হলে তারা বলে, কি করা যাবে দাদা! আমরা বেকার। সরকার তো চিরকালই রাজস্ব নেয়, এবার আমাদের কিছু আর্থিক সংকুলানের জন্যই আমরা এই কাজে নেমেছি।

তো আমরা একবার ধ্বনি তুলতে পারি,জয় মা করোনা!জয় মা কারণ বারি!
তুই বেঁচে থাক মহামারী!
নেতারা কামিয়েছে প্রচুর
এবার আমরা কিছু কামাই করি।