অবতক খবর, সালানপুর : করোনার জেরে মাথায় হাত কল্যানেশ্বরী ও মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের ব্যাবসায়ীদের। ৬মাস হয়ে গেলো করোনার,দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাসের। সাধারণ মানুষের সংসার চালোনা করা হয়েছে মুশকিল।
কল্যানেশ্বরী ও মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের ভরসা হলো পর্যটক। পর্যটক না ঘুরতে এলে তাদের ব্যাবসা শেষ। এমনি পরিস্থিতিতে রয়েছে এই অঞ্চলের কল্যানেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত থেকে শুরু করে দোকানদার,হোটেল ব্যাবসায়ী,আটো চালক এবং নৌকা চালকরা। প্রচুর কষ্টের মধ্য তাদের সংসার চালোনা করতে হচ্ছে, চিন্তা করতে হচ্ছে আগামী দিনে এই রকম পরিস্থিতি থাকলে তারা খাবে কি?
এই প্রসঙ্গে কল্যানেশ্বরী মন্দিরের এক পুরোহিত জানান করোনার জেরে আগের মত আর ভক্তদের ভিড় নেই মন্দিরে তার উপরে পর পর দু দিন লকডাউন মন্দির খোলা থাকলেও ভক্তরা আসছে না, প্রচুর কষ্টের মধ্যে সংসার চালোনা করতে হচ্ছে। এই করুন পরিস্থিতির নিয়ে এই অঞ্চলের এক দোকানদার বলেন তাদের ব্যাবসা শেষ হয়ে পড়েছে, করোনা জেরে মন্দিরে ভক্তদের আগমন হচ্ছে না এবং পর্যটক রাও মাইথন ঘুরতে আসছে না, তিনি বলেন তাদের ব্যাবসার ভরসা হচ্ছে পর্যটক তারা যদি না আসে তবে তাদের ব্যাবসা বন্ধ,তার উপর দুটি দিন দোকান পাট বন্ধ লকডাউনের জেরে প্রচুর ক্ষতি সমূখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এই রকম যদি চলতে থাকে তবে আমাগী দিনে আরো কষ্টের মধ্যে তাদের সংসার চালাতে হবে।
এই মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের এক নৌকাচালক বলেন তাদের রোজগার হচ্ছে পর্যটক তারা যদি মাইথন না আসেন তবে তাদের ব্যবসা বন্ধ। করোনার জেরে আগের তুলনায় মাইথনে পর্যটকদের ভিড় নেই,সংসার চালোনা করা হয়েছে মুশকিল সরকারের দেওয়া রেশনের চাল দিয়ে সংসার চলছে।তার উপরে লকডাউন তার জন্য আশেপাশের লোকজন আসা বন্ধ।
এই মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে এক অটো চালক জানান,করোনার জেরে সব থেকে অসুবিধা রয়েছে এই অঞ্চলের অটো চালকরা তাদের রোজগারের মাধ্যম হলো পর্যটক কিন্তু লকডাউন ও করোনার জন্য মাইথনে আর কেউ আসছে না, খুব কষ্টে দিন কাটছে,এমনকি অনেক অটো চালকের গাড়ির কিস্তি দেওয়া হয়েছে মুশকিল তার উপরে সংসার চালোনা করা হয়েছে সব থেকে বড় সমস্যার কারন।
এই মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে কল্যানেশ্বরী ও মাইথন পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মনোজ তেওয়ারী জানান, প্রায় মাস ধরে তাদের প্রতিদিন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, এই অঞ্চলের হোটেল ব্যাবসায়ীরা মাথায় হাত পড়েছে, না আসছে পর্যটক না হচ্ছে হোটেল গুলিতে বিয়ে এই দুটির উপর ভরসা করে এই অঞ্চলে ব্যাবসা চলে। তার উপরে লকডাউনে জেরে হোটেল পুরোপুরি ভাবে বন্ধ। এবং থেকে বড় সমস্যা হোটেল খোলা থাক বা বন্ধ থাক,পর্যটক আসুক বা না আসুক প্রতিটি হোটেল মালিককে সরকারকে সময় মতো কর দিতে হচ্ছে।