অবতক খবর,২২ সেপ্টেম্বরঃ ‘কলকাতা-সিনেমা থেক’ আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক শট্ এন্ড ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভালে সম্মানিত হল কাঁচরাপাড়া সংবর্তক সিনে সোসাইটি প্রযোজিত তথ্যচিত্র চ্যাপলিনঃআর্টিস অ্যান্ড ওয়ারিয়র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আবির মজুমদার এবং অর্ণব মজুমদার। ‘নন্দন-৩’-তে ১২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরিচালক রেশমি মিত্র। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং পায়েল সরকার। চ্যাপলিন সম্পর্কে এই তথ্যচিত্রটি প্রশংসিত হয় দর্শক এবং জুরিদের মধ্যেও। চ্যাপলিনের জীবন নিয়ে এই তথ্যচিত্র নির্মাতা পরিচালক আবির মজুমদার বলেন,’ধ্রুপদী চলচ্চিত্র চর্চার স্বার্থে আমরা আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ‘Chalachitra Charcha’র মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সিনেমার ইতিহাস এবং তার রাজনৈতিক ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরতে চাই। এটাই আমাদের সিনে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।’
শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয় পরিচালক আবির মজুমদারকে। উৎসবে সেরা শর্ট ফিল্ম নির্বাচিত হয় শান্তনু সাহার পরিচালিত ‘হিট ইউকেট’ ছবিটি। উৎসবের আহ্বায়ক অভিরণ চট্টোপাধ্যায়ের স্বল্পদৈর্ঘ্যের নির্বাক ছবি ‘চা’ বিশেষভাবে সম্মানিত হয়। এই ছবিটি ইতিমধ্যেই বিদেশে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে চলেছে এবং পুরস্কৃত হয়েছে। এই উৎসবে জুরি’রা ছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, স্বপন মল্লিক এবং চলচ্চিত্র আন্দোলনের প্রবীণ সৈনিক অজয় সেনগুপ্ত।
১৬ সেপ্টেম্বর নন্দনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আবির মজুমদার বলেন,’এই দেশে দুয়োরাণী হিসেবে বিবেচিত হওয়া তথ্যচিত্রের প্রচার ও প্রসারে স্বার্থে সিনেমা থেক্ কলকাতার এই প্রয়াস অত্যন্ত সম্মানের দাবি রাখে। তিনি আরো বলেন,অজানা ইতিহাস এবং প্রতিদিন দেশ-বিদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা তথ্যচিত্রের মধ্য দিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরা এক সামাজিক কর্তব্য। তিনি এও বলেন,স্বাধীন পরিচালকদের ক্ষেত্রে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র এই সময়ে এক বিরাট বিপ্লব। যে ছবির মধ্য দিয়ে পরিচালক আপোষ এবং পুঁজির দাসত্ব না করেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। সবশেষে আবির মজুমদার জানান চ্যাপলিন বিষয়ক তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় পর্ব ‘চ্যাপলিনস্ লাস্ট জার্নি অব সলটিটিউড’ খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে।
কাঁচরাপাড়া সংবর্তক সিনে সোসাইটির এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে কাঁচরাপাড়ার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সম্মান বৃদ্ধি করেছে।