অবতক খবর,১০ আগস্ট : হালিশহর ৬ নং ওয়ার্ড শিবের গলির বাসিন্দা পরিতোষ গাঙ্গুলী (৬৮) গতকাল বিকেল সাড়ে চারটের সময় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এরপরই অবস্থার অবনতি হতে থাকে এবং আজ ভোর ৩.৩০ নাগাদ তিনি মারা যান। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।
কিন্তু আজ সকাল ১১টা বেজে গেলেও মৃত পরিতোষ বাবুর দেহ ছাড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনই জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেহ দিতে ক্রমাগত দেরি করছিল তারা।
অতঃপর মৃতের পরিবার হালিশহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী চন্দ্ররায় চক্রবর্তীকে সমস্ত বিষয়টি জানান। এরপর চন্দ্রবাবু তড়িঘড়ি ছুটে যান হাসপাতালে। এরপরের ঘটনা সম্পর্কে চন্দ্রবাবু আমাদের জানান যে,দেহ দেরীতে ছাড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা।
চন্দ্রবাবু বলেন,সরকার এত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এভাবে রোগী এবং রোগীর পরিবারকে নাজেহাল ও বিভ্রান্ত করছে। সরকারকে বদনাম করার জন্য এসব করছে তারা।
চন্দ্রবাবু জানান,তারা হাসপাতাল চত্বরে ধর্ণা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
এইভাবে সেখানে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।
অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃত পরিতোষ গাঙ্গুলীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এখন এই করোনা কালে যেখানে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীদের আমরা কুর্নিশ জানাচ্ছি সেখানে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা জনসাধারণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন।