অবতক খবর, ৯ ডিসেম্বরঃপশ্চিমবঙ্গে কল্যাণী বই মেলা একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে। কল্যাণী বইমেলার এবার ২৬ তম বর্ষ।আজ নয় ডিসেম্বর এই শীতের প্রহরে বইমেলার অনুষ্ঠান ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। বইমেলার এবারের ভাবনাঃ স্বাধীনতার ৭৫ তম পূর্তি বর্ষ।
অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চটি শহীদদের এবং সংগ্রামীদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবেত সংগীত দেশগাথা পরিবেশন ছিল মনোগ্রাহী। এরপর এই বইমেলার উদ্বোধন করেন সুপরিচিত চলচ্চিত্রাভিনেতা ও নির্দেশক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ঘন্টাধ্বনির মধ্য দিয়ে বইমেলার শুভ সূচনা হয়। ২৬টি ঘন্টার ধ্বনির মাধ্যমে মেলাকে স্বাগত জানানো হয়।
এই অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপকেরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী পৌরপ্রধান ডক্টর নিলীমেষ রায়চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন এ সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্র দোস্তজির চিত্র গ্রাহক তুহিন বিশ্বাস।
উদ্বোধক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বইমেলা যে চিন্তা চেতনার পক্ষে একটি উজ্জ্বল আয়োজন সেটি পরিষ্কারভাবে জানান। তিনি বলেন,বইমেলা জীবনের সঙ্গে যুক্ত। বই ছাড়া আমাদের জীবনধারণের অন্য কোন উপায় নেই। বই পাঠ একটি পবিত্র পাঠ।
এদিন উল্লেখযোগ্যভাবে বইমেলায় লিটিল ম্যাগাজিন প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করেন মাউথ অর্গান বাদক প্রবীণ শিল্পী উমাপদ নিয়োগী এবং কবি রামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
লিটিল ম্যাগাজিন উদ্বোধনের পর উমাপদ নিয়োগী মাউথ অর্গান বাদন পরিবেশন করেন। পরবর্তীতে বক্তব্য রাখেন লিটিল ম্যাগাজিন পরিচালনার মূল কর্ণধার দেবাশিস রায় ।এই বইমেলায় তাদের কর্মপরিকল্পনা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বিশদ বলেন। এরপর শুরু হয় কবিতা এবং গল্পপাঠ। অঞ্চলের কবি এবং লেখকেরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিন মেলা প্রাঙ্গণটি কবি কৃষ্ণ ধরের নামে উৎসর্গ করা হয়। অনুষ্ঠানের মূল সঞ্চালক ছিলেন সৌরভ ভট্টাচার্য।পরবর্তীতে তিনি পাঠের আসরের সঞ্চালনার দায়িত্ব কবি ও প্রাবন্ধিক রণজয় মালাকারের হাতে তুলে দেন।