অবতক খবর,৩ জুন: আগেও বারবার আমরা বলেছি কাঁচরাপাড়া একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র। এখানে ব্যবসায়ীরা এই শহরের অর্থনীতি পরিচালনা করেন। কিন্তু সম্প্রতি দোকানপাট খোলা নিয়ে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে গেল তাতে পরিষ্কার বোঝা গেল যে ব্যবসায়ী সমিতির বিভিন্ন ইউনিটগুলির মধ্যে কোন ঐক্য নেই। আরো দেখা গেল এবং ব্যবসায়ী নেতারা নিজের মুখেই স্বীকার করলেন, এইখানে কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। এটি দীর্ঘ বছর ধরে নিষ্ক্রিয়,এটির পরিচালনায় ছিলেন সভাপতি শান্তিরঞ্জন দাস এবং সম্পাদক নির্মল তাপাদার।
কিন্তু এই লকডাউনের বাজারেৎদোকানপাট খোলা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির কোন ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না। পৌর কর্তৃপক্ষ এবং থানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে কেবলমাত্র শান্তিরঞ্জন দাসকে দেখা গিয়েছিল এবং তাও তিনি কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নয়, ১ নং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্য নেই তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ৩ নং ইউনিটের দোকানপাট খোলা নিয়ে বিশেষ করে জামাই ষষ্ঠীর দিন যে গন্ডগোল দেখা দিয়েছে তাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এক পক্ষের অভিযোগ তারা নির্দিষ্ট কারণে দোকান খুলেছিলেন। অন্য পক্ষের অভিযোগ বৃহস্পতিবার থাকা সত্ত্বেও থানা এবং পৌর নির্দেশ লংঘন করে তারা সেইদিন দোকান খুলেছেন, সেই দিন দোকান খোলার কোন নিয়ম ছিল না।
আমাদের কাছে এসব কোন ঘটনা নয়, ঘটনাটি হচ্ছে, কাঁচরাপাড়ায় যে ব্যবসায়ী ঐক্য ছিল সেই ৮০-র দশকের প্রথম ভাগে সেই ঐক্য আর নেই। সেই পুরাতন নেতৃবৃন্দ যেভাবে কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সাংগঠনিক রূপ দিতে চেয়েছিলেন সেটি ক্রমাগত ক্ষয়িষ্ণুর পথে। ফলে কাঁচরাপাড়ার সুনাম বিঘ্নিত হচ্ছে এবং এইরকমই যদি চলতে থাকে তাহলে বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে কাঁচরাপাড়ার ব্যবসাও মার খাবে বলে আমাদের ধারণা।
উল্লেখ্য এই কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা মন্ডলীতে বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ছিলেন। যদিও তখন তিনি তৃণমূলে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। এই পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু বীজপুর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে বিধায়ক এই ব্যবসায়ীক সংগঠনকে যে সমস্ত নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল বা তা যে কর্তব্য সে ব্যাপারেও তিনি কেন নিষ্ক্রিয় রয়েছেন এটিও একটি রহস্যময় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁচরাপাড়ার মানুষের কাছে।