অবতক খবর,৪ এপ্রিল: আজ মদের দোকান খুললো। কাঁচরাপাড়ায় মদারুর সংখ্যা কত তা আজ অনেকটাই অনুমান করা গেল। শহর কত মদপ্রেমীর শহর। কবিগুরু রবীন্দ্রপথের উপরে স্টেশন থেকে আরম্ভ করে লিচুবাগান পর্যন্ত চারটে মদের দোকান রয়েছে। তার মধ্যে দুটি দেশি মদের দোকান সেখানেও বিদেশী মদ পাওয়া যায়।আর দুটি দোকানে বিদেশি মদ পাওয়া যায় তাকে আপনারা ফরেন লিকার শপ বলে থাকেন।
সব দোকানেই প্রচুর ক্রেতার ভিড় এবং কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া দেখা যাচ্ছে ক্রেতারা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলছেন। প্রশ্ন উঠেছে অন্য সময়ে অত সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মান্য করা হয় না কেন? মদ কেনার সময় দেখা যাচ্ছে তারা এই দূরত্বটাকে মান্যতা দিচ্ছে। পুলিশ রয়েছে সক্রিয় একথা ঠিকই এবং যেহেতু আজ প্রথম দিন তিনটে থেকে দোকান খোলা ছিল ছটা পর্যন্ত।
কথা ছিল যে দুটোর বেশি বোতল একজন ক্রেতা মদ পাবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ব্ল্যাকারদের সঙ্গে দোকানদারদের যোগাযোগ রয়েছে। এবং তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। পুলিশ একটু এদিক-ওদিক হলেই তারা দুইয়ের বেশি পাঁচ ছয় সাত আট দশটা করে বোতল তুলে নিচ্ছেন।
আরো অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল যারা মদ কিনছেন বোঝা যাচ্ছে তাদের আয় বা উপার্জন মদ কেনার ক্ষমতার বাইরে। তারা মদ কিনতে পারেন না। তবুও তারা কিনছেন। এমন অনেক ব্যক্তিদের দেখা গেছে যারা ত্রাণ নিয়েছেন সেই সমস্ত ছেলেরাও মদ কিনছে। এই অর্থ কোথা থেকে আসছে, কিভাবে আসছে কেউ জানে না।
তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে এরা যে করেই হোক টাকা জোগাড় করেছে, মদ কিনে মজুত রাখছে । পরে এই লকডাউন পিরিয়ডে এরা কালোবাজারি করবে এই মদের। তাই আজ প্রচুর ভিড় মদের দোকানে মদ কেনার জন্য। মনে করোনার যেমন আতঙ্ক রয়েছে, আবার এদিকে তাদের আতঙ্ক রয়েছে যদি কালকে আবার দোকান না খোলে, আবার যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তো মদ পাওয়া যাবে না, কেনা যাবে না, সেই জন্য যে যতটা পারে স্টক করার জন্য তারা প্রস্তুতি নিয়েছে।
দেখা যাচ্ছে অনেকে যে মদ কিনছেন সঙ্গে তার বন্ধু এসেছে সেও কিনছেন মানে তারা দল বেঁধে মদ কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন মজুত রাখবেন বলে। দীর্ঘ এই যে লকডাউন এই সময়ে তারা মদ পান করতে পারেননি, তারা যে ভুলটা করেছেন, বলছেন, তারা আর সেই ভুলটা করতে চান না। তারা এই জন্যই আবার কতদিন লকডাউন চলবে না চলবে সেই ঝুঁকি তারা নিতে চান না। তারা মদ কিনে রাখছেন মজুত রাখছেন কারণ লকডাউন মানেই অবসর যাপনের সময় এবং তার প্রধান বন্ধু হচ্ছে এই পানীয়, এই মদ। এইজন্যই তারা মদ কিনে রাখছেন।