অবতক খবর,৮ আগস্টঃ চারিদিকে এত রক্তদান শিবির আয়োজন করা হচ্ছে তবুও সংকট রক্তের। বিভিন্ন হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় যে রক্তের কতটা সংকট! মুমুর্ষ রোগীর পরিবার ১ ইউনিট রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ছুটে বেরায়। এমনকি ব্লাড ব্যাংক গুলিতে কার্ড দিলেও মেলে না রক্ত। পরিশেষে একজন ডোনার যদি পাওয়া যায় তবে একটু সুরাহা হয়।
কাঁচরাপাড়া ১০ নং ওয়ার্ড লম্বুর মাঠ সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা শান্তিরঞ্জন মন্ডল লিভারের সমস্যা নিয়ে কাঁচরাপাড়া রেল হাসপাতালের ২৫ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হয় রক্তের। কিন্তু তার পরিবার কোনভাবেই রক্তের ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না। রক্তের কার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি ব্লাড ব্যাংক গুলিতে A+ রক্ত পাননি।
অবশেষে তাঁকে রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন আমাদের অবতক খবরের সংবাদকর্মী সম্পা দাম (পাল)। এই সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছতেই তিনি ৮ আগস্ট বিকেলে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে পৌঁছে যান রক্ত দিতে।
অবশেষে শান্তি রঞ্জন বাবুর জন্য পাওয়া যায় ১ ইউনিট রক্ত।
কিছুদিন আগেও হালিশহরের একটি মেয়ে এক মুমুর্ষ রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দিয়ে।
এখন সর্বক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এগিয়ে আসছেন মেয়েরা। সম্পার এহেন কর্মকান্ডকে কুর্নিশ জানায় অবতক খবর।
এই বিপদকালীন সময়ে শান্তি রঞ্জন বাবুকে ১ ইউনিট রক্ত দেওয়ার জন্য সম্পাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পুত্র বিল্টু মন্ডল সহ পরিবারের সকল সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে সম্পা জানান,রক্ত এমনই যে মানুষ ছাড়া তার কোন বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় না। সুতরাং মানুষের বিপদে প্রত্যেককেই এগিয়ে আসা উচিত এবং একজন সুস্থ মানুষের নিয়ম করে রক্ত দান করা উচিত। এই কয়েকটা ফোঁটা রক্তেই বাঁচতে পারে একটি মানুষের প্রাণ।