অবতক খবর / রঞ্জন ভরদ্বাজ : কাঁচরাপাড়া লক্ষ্মী সিনেমা শহরের একটি অন্যতম অঞ্চল। কিন্তু কিছুদিন যাবত সেখানে দেখা যাচ্ছে আগাছার মত গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট নতুন কিছু দোকান। সূত্র মারফত জানা গেছে,ওই দোকানগুলির জন্য নেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা করে। কে বা কারা এই টাকা নিয়েছে এবং কাদের সাহায্যে এই দোকানগুলি হয়েছে সে নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরের কিছু মানুষ যুক্ত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এখন কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে সবাই নেতা,সবাই নিজের স্বার্থে নিজের পকেটে ভরতে ব্যস্ত। আর এই নিয়ে গোষ্ঠী কলহ লেগেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে কোন এক গোষ্ঠী এই দোকানগুলিকে বসাচ্ছে। লক্ষ্মী সিনেমা অঞ্চলের একটি ফাঁকা জমি যৌথভাবে ক্রয় করেছেন অরুণ আগরওয়াল,রঞ্জন পোদ্দার,বি. দাস, গোবিন্দ চন্দ্র শাহ। আর সেই ফাঁকা জমির সামনে সারি সারি করে গজিয়ে উঠেছে এই দোকানগুলি। যে জায়গায় এই দোকানগুলো করা হয়েছে সেটি পিডব্লুডি-র জায়গা।কিন্তু ওই ফাঁকা জমিটি যারা কিনেছেন তারা এখন সমস্যায় পড়েছেন। কারণ জমিটির সামনের দিকটা পুরো আটকে যাচ্ছে ওই দোকানগুলির জন্য। ইতিমধ্যে দুটি পাকা দোকান তৈরি হয়েছে। আরও আটটি দোকান তৈরির কাজ চলছে। এ নিয়ে পৌর প্রশাসনের সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হয় তখন পৌরপ্রধান সুদামা রায় জানান,যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই চারজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন,যে বা যারা এই কাজ করছে তারা সামনে আসছে না। কিন্তু তারা এটা জানতে পেরেছেন যে, ভবিষ্যতে তারা সেখানে যদি কোন শপিং মল বা বড় দোকান করেন তবে যে দশটি দোকান তাদের জমির সামনে গড়ে উঠছে তাদের সেখানে দোকান দিতে হবে।কারণ তারা তো ওই জমি থেকে বেরনোর রাস্তা আটকে দিচ্ছে। আর সেখানে বড় মল বা দোকান হলে ওই দশটি দোকান ভাঙতেই হবে। এমনই পরিকল্পনা শুরু করেছে চক্রান্তকারীরা। এখন ওই চার ব্যবসায়ী দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যে, এইভাবে যদি চক্রান্ত চলতে থাকে তবে ভবিষ্যতে তারা কি করবেন! বিষয়টি জানতে পেরেই পৌর প্রধান সুদামা রায় বীজপুর থানার আইসি-কে ফোন করে এই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে বলেন। অন্যদিকে তিনি এও জানিয়েছেন যে,যারা বলছে এই কাজের পেছনে প্রশাসন যুক্ত রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। প্রশাসন কোনদিনও কোন বেআইনি কাজে যুক্ত থাকে না। এ প্রসঙ্গে উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা বলেন,এই যে বেআইনি কাজ হচ্ছে,তাতে ওই দোকানদাররা তো ট্রেড লাইসেন্সই পাবে না, তাহলে ব্যবসা করবে কিভাবে? আমরা দেখছি এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে এবং এটি যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করা যায় আমরা তার ব্যবস্থা করব। অন্যদিকে কাউন্সিলর সুজিত দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,কোন বেআইনি কাজকে আমরা সমর্থন করি না। এ বিষয়টি আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবো। এর আগেও প্রচুর বেআইনি দোকান বসেছে। কিন্তু আগে যা হওয়ার হয়েছে, নতুন করে আর এইসব হবে না।