অবতক খবর,৭ সেপ্টেম্বরঃ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল এর কেশবপুরের মাইতি পরিবারের প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠে কয়েক হাজার মানুষ। মানুষের বিশ্বাস সংরক্ষিত গায়তন স্পর্শ জল খেলে পূর্ণ হয় সমস্ত মনোবাঞ্ছা সেরে যায় সমস্ত রোগ অসুখ। আর সে বিশ্বাস থেকেই প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে লোক আসেন সেই কায়তান স্পর্শ জল খাওয়ার জন্য, অত্যন্ত গ্রাম কেশবপুরের মাইতি পরিবারের দুর্গাপূজা প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো।
প্রথমে হতো ঘট পূজো, কিছু বছর ঘট পূজা হওয়ার পরে কুলপুরোহিত স্বপ্ন আদেশ পান রূপনারায়ণ নদ এর সাথে সংযুক্ত একটি একটি খাল গেছে মন্দিরের পাশ দিয়ে, ওই নদীর পাশে একটি গাছে প্রতিমার কাঠামো এবং কায়তান আটকে রয়েছে, সেগুলি তুলে প্রতিষ্ঠা করার। সকাল সকাল কুলপুর পুরোহিত মাইতি পরিবারের সদস্যদের সে কথা জানালে পুরোহিত এবং মাইতি পরিবারে সদস্যরা নদীর পারে যান এবং দেখেন ওখানে কাঠামো এবং কায়টান আটকে রয়েছে, তারপর থেকেই ঘর পুজোর পরিবর্তে প্রতিমা পূজা শুরু হয়। সেই থেকে একইভাবে একই কাঠামোর পুজো হয়ে আসছে। শুধু পুজোর দিন নয় বছরের অন্যান্য দিনও দূর দুরান্ত থেকে লোক আসেন কায়তন স্পর্শ জল খাওয়ার জন্য।
বর্তমান সময়ে প্রায় 12 টি পরিবার খরচ সামলান এই পুজোর। অষ্টমীর দিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের ভিড় হয় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এক কথায় আভিজাত্য না থাকলেও ভক্তির মিশেলে আজও অনন্য পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের মাইতি বাড়ির পুজো।