কার্তিক গুহ :: অবতক খবর :: ২৯শে ডিসেম্বর :: পশ্চিম মেদিনীপুর :: একদিকে এনআরসি সিএএ নিয়ে নাজেহাল অবস্থা বিজেপির। এর মধ্যে কেশপুরে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি সহ ৫০ জন সক্রিয় বিজেপি কর্মী।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কেশপুর মন্ডল সভাপতি শেখ সেলিম মল্লিক , গরগোজপোতা গ্রামের বিজেপি নেতা শেখ ইসমাইল , শাঁখপুর গ্রামের বিজেপি নেতা শেখ বুয়ালি হাসান।
এবছরের গোড়ায় লোকসভা ভোটের আগে তাঁরা বিজেপিতে যোগদেন। এরআগে তাঁরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থক ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিয়ে লোকসভা ভোটে ঘাটাল কেন্দ্রে প্রার্থী হন। যদিও তিনি দেড় লাখ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারীর কাছে হেরে যান।
ভোট মেটার পর কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় টিকে যাওয়ায় কেশপুরে একের পর এক গ্রামে শুরু হয় গেরুয়া সন্ত্রাস। খুন , লুট , তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি , পার্টি অফিস ভাঙচুর , আগুন লাগানো কিছুই বাদ যায়নি।
উপনির্বাচনে তিনটি আসনে হারার পর এবং খড়্গপুরের মতো আসন যা কিনা দিলীপ ঘোষের খাস তালুক বলে পরিচিত,সেখানে বিজেপি ধরাশায়ী হতে মনোবল ভাঙতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরসঙ্গে কফিনে শেষ পেরেকের মতো পুঁতে যায় এনআরসি আর সিএএ ।
রবিবার দুপুরে মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি । উপস্থিত ছিলেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলী সাহা,খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়,তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক।