অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোট আবহে রাজ্য পুলিশের এক ওসি পদমর্যাদার আধিকারিকের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ক্যানসার রোগে আক্রান্ত বিজেপির এক প্রার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছ পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যাগ করে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঘটনার একটি ভিডিও-সহ ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার ১১ নম্বর জেলাপরিষদ আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শুভঙ্কর মাহাতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুড়মি সমাজের এই মানুষটি দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। ঝাড়গ্রামের বিজেপি কার্যালয় থেকে সাঁকরাইল থানার পাতরা অঞ্চলে যখন নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তখন পুলিশ শুভঙ্করবাবুকে আটকায় এবং সাঁকরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সইফুদ্দিন কোনও কারণ ছাড়াই ওনাকে মারধর করেন। শুভঙ্কর বাবুর দোষ, উনি বিরোধী দল করেন। উনি তৃণমূলের হুমকি ও ভয় দেখানোকে উপেক্ষা করে, পুলিশের চাপকে অগ্রাহ্য করে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন এবং উনি প্রার্থীপদও প্রত্যাহার করেন নি।’
A @BJP4Bengal Panchayat Election Candidate; Shri Suvankar Mahato, contesting on the Seat No. 11 of the Jhargram District Zilla Parishad was manhandled & beaten up by the Officer In Charge (OC) of the Sankrail Police Station; Mr. Khandkar Saifuddin Ahamed, without any reason.… pic.twitter.com/aJkfdfwRJ2
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 26, 2023
এরই সঙ্গে শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘শুভঙ্করবাবুর ছোট্ট বাচ্চাটির সামনেই পুলিশ শুভঙ্কর বাবুকে অমানবিক ভাবে হেনস্থা ও মারধর করে, এমনকী, শুভঙ্করবাবুর স্ত্রী-সহ পরিবার বা স্থানীয়রা পুলিশের কাছে উনি যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত সে কথা বলার পরেও পুলিশ কর্ণপাত করেনি। তাই পুলিশের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আশা করা বৃথা, কারণ বাংলার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।’
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে লেখেন, বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত গড়তে তৃণমূলীরা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে’। সুকান্ত ট্যুইটে লিখেছেন, ‘বিজেপি প্রার্থী তো ছেড়েই দিলাম, পুলিশ রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। কিন্তু উনি যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত তা জেনেও ওই পুলিশ তাঁর ওপর যেভাবে নির্মম অত্যাচার চালালেন তা লজ্জার।’ স্বভাবতই এই ঘটনা সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।