অবতক খবর,৪ আগস্ট,মালদা: খবরের জের। পাঁচ বছর ধরে শিকল বাঁধা অবস্থায় ছিল মানসিক রোগী। পয়সার অভাবে হচ্ছিল না চিকিৎসা। পাচ্ছিল না কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। সেই খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পাশে এসে দাঁড়ায় তৃণমূল নেতা এবং স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।
অবশেষে সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার কথা প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। তড়িঘড়ি প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে জন-প্রতিনিধিরা ভিড় জমাতে শুরু করে জাকির হোসেনের বাড়িতে। খবরের জেরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বহরমপুর মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হলো জাকির হোসেনের পুত্র সেলিম আকতারকে। এদিন খবর প্রকাশের পর একবালপুর গ্রামে সেলিম আক্তারের বাড়িতে ছুটে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিজয় গিরি। পাশাপাশি সেলিমকে দেখতে যান এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেনের ভাই তথা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান। তিনি পরিবারটিকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাশে থাকার বার্তা দেন।
এ প্রসঙ্গে সেলিম আক্তারের বাবা জাকির হোসেন বলেন, সংবাদমাধ্যমের বদান্যতার জেরে আজ আমার ছেলে ৫ বছর পর সুচিকিৎসা পেতে চলেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমরা আর্থিক অনটনের কারণে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে পারেনি । আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছে কৃতজ্ঞ।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সেলিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা হওয়াতে খুশি ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একবালপুর গ্রাম।
সংবাদ মাধ্যম হল মানুষের কণ্ঠস্বর। যেখানে মানুষ অবহেলিত হবে সেখানে মানুষের আওয়াজ তুলে ধরবে সংবাদমাধ্যম। মানুষের জন্য আওয়াজ তুলবে সংবাদমাধ্যম। এ ক্ষেত্রেও তাই দেখা গেল। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই অসহায় যুবকের খবর প্রকাশিত হতে হতেই পাশে দাঁড়াল জন-প্রতিনিধি এবং প্রশাসন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল পরিবারের লোকেরা।