অবতক খবর,৩১ জুলাইঃ চোখে দেখতে না পেলেও শুধুমাত্র কানের ভরসায় , দৃষ্টিহীনদের দুই ফুটবল দল মাঠ কাঁপালো নদীয়ার গয়েশপুরে। বিরল এই দৃশ্য দেখে হতবাক ক্রীড়া প্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
গয়েশপুরে আজ এক বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো ক্রীড়া প্রেমী মানুষজনেরা। এর আগেও একাধিক ফুটবল খেলা যারা দেখেছেন তারাও হতবাক! গয়েশপুর টাউন ক্লাবের মাঠে আয়োজিত হয়েছিলো দৃষ্টিহীনদের এই ফুটবল প্রতিযোগিতা। ভাবছেন তাও আবার সম্ভব হয় নাকি? নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না তাই আপনাদের চাক্ষুষ করানোর জন্য আমাদের এই প্রতিবেদন। সাধারণ ফুটবলের থেকে কিছুটা নিয়ম কানুন সামান্য আলাদা। দুইদলের গোল রক্ষক বাদ দিয়ে, পাঁচজন করে প্রত্যেককেই দৃষ্টিহীন। দর্শকদের সন্দেহ দূর করার জন্য তারা চোখে কাপড় বেঁধে নিয়েছে। তবে বলের মধ্যে অসংখ্য লোহার ছোট ছোট বল থাকার কারণে শব্দ বের হচ্ছে তা থেকে, আর সেই শব্দের আওয়াজ শুনে বলের পেছনেই ছুটছে দু দলই।
এবার প্রশ্ন আসে একদল অন্যদলের চিনতে পারবে কিভাবে, বল কাটাতে কাটাতে নিয়ে যাওয়ার সময় একদল মুখে আওয়াজ করছে এক্স অন্যজন ওয়াই। এভাবেই বল নিয়ে ছুটে যাওয়ার পর গোলপোস্টের লোহার তিনটি বাড়ে তিনজন মহিলা শব্দ করার কারণে তারা নিশ্চিত হচ্ছেন গোলপোস্টের আয়তন সম্পর্কে। তবে ১০ মিনিট বিরতির পরবর্তীতে আবারো ২৫ মিনিট করে মোট এক ঘন্টা খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। দর্শকরা মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন খেলা দেখে।
নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না নিজেদের চোখকে। গয়েশপুর টাউন ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলায় উপস্থিত ছিলেন গয়েশপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক ঘোষ ও কোলকাতার প্রাক্তন ফুটবলার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। জানা গেছে নদীয়ার নবদ্বীপ এবং মুর্শিদাবাদের অপর একটি দল নিজেদের কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে মনোবলকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তাদের প্রতি রইল আমাদের অবতকের তরফ থেকে অনেক শুভকামনা।