অবতক খবর, রাজ্ , হাওড়া :- সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিও দেখা যাচ্ছে , উত্তর হাওড়া তৃণমূল সভাপতি তথা প্রাক্তন মেয়র পরিষদ গৌতম চৌধুরী স্থানীয় গোলাবাড়ি থানা পৌঁছে মেজাজ হারান ও থানার চেয়ার উল্টে ফেলে দিচ্ছে ।

নিজের দলের ছেলেদের ছাড়াতে থানায় এসে মেজাজ হারান তিনি । মোবাইল বন্দি হয় সেই ছবি । প্রায় দু মাস আগের এই ঘটনার ছবি এখন ভাইরাল হয় । গোলাবাড়ি থানা এলাকার কালিতলায় গত অক্টোবর মাসে বিজেপির একটি সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।পুলিশ দুজন টিএমসি কর্মীকে গ্রেফতার করে । তাদের ছাড়াতে এসে মেজাজ হারান তৃণমূল নেতা । যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহার বক্তব্য এই ধরনের ঘটনার নতুন নয়, আগেও ঘটেছে । তাই মানুষ পুলিশ প্রশাসনের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে । পুলিশ তৃণমূল নেতা বা কর্মী হলে চুপ করে থাকে আর বিজেপি কর্মী বা নেতা হলে মিথ্যা মামলা সাজায় । এখানে গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে । অন্যদিকে গোটা বিষয় নিয়ে গৌতম চৌধুরী বলেন , তৃণমূল দলে কর্মীরাই আমাদের সম্পদ , মুখ্যমন্ত্রী কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর প্রতিবাদ করায় সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে । তাদের ছাড়াতে গিয়ে অশান্তি হয় । ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা উত্তর হাওড়ায় ঘটলে আবারো অশান্তি হবে ।


সম্প্রতি ১৪ই সেপ্টেম্বর সুন্দরবন কোস্টাল থানা থেকে দলীয় কর্মীদের ছাড়াতে এসে পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ইট ছোড়া হয় পুলিশকে। প্রায় ২৪ জন পুলিশ জখম হয়েছেন।
১৪ ই নভেম্বর ২০১৪ রাতে আলিপুর থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা ।

যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য রাজনীতি । প্রায় আধঘণ্টা ধরে আলিপুর থানায় রীতিমতো তাণ্ডব চালাল তৃণমূল কর্মীরা ৷ মারের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশকর্মীরা উর্দি পরা অবস্থাতেই থানা ছেড়ে দৌড়ে পালালেন ৷ কেউ কেউ মাথায় ফাইল চাপা দিয়ে টেবিলের নীচে আশ্রয় নিলেন ৷

ক্ষমতায় আসার পর কলকাতায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের থানা ভাঙচুরের ঘটনা নতুন কোনও ঘটনা নয়৷ এর আগে ২০১১ সালে তারাতলা থানা এবং ২০১২ সালে ভবানীপুর থানায় পুলিশকর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ থানা ভাঙচুরের মতো ঘটনাও সেখানে ঘটেছিল৷ ভবানীপুর থানায় গণ্ডগোলের সময় আবার উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷