মা মাটি মানুষ– তিনটি শব্দই ফানুস হয়ে উড়ে যায়… তোমার আবাস যোজনার টাকা কারা মেরে খায়?

ঘর
তমাল সাহা

ঘররে ঘর, তোর লিগাই তো আইলাম এই ভুবনে।
তুমি তো জানো লালন,
তোমার থিকা আর কে বেশি জানে?
কত রকম ঘর বানাইবার চাও তুমি, ঘরের নানান মানে।

কেউ কয় আবাস, কেউ কয় কুঞ্জ, কেউবা কয় নিকেত।
আমরা কই ছোট্ট ঠাঁই, মাথা গোঁজনের চাল—
এইটার মইধ্যেও ধান্দাবাজি,
হায়, আমাগো যে কী পোড়াকপাল!

আট কুঠুরি নয় দরজা আঠারো মোকাম—
এমন ঘর আমরা পামু কবে ক্যামনে?
আসল কথাটা তুমি এড়াইয়া যাও
নেতা আমাগো ঘর চুরি কইরা পকেট ভরে সামনে।
দিনমজুরেরা পাইলো না ঘর, পাইলো মাতব্বর।
এ কোন গান গাও তুমি
কই তোমার জীবনের কণ্ঠস্বর?

দেহতত্ত্বের গান গাও তুমি।
এইটা কঠিন বড়, জটিল দর্শন।
আরশিনগরে থাইক্যা নেতা করে নিজের পড়শি অন্বেষণ।
দুনিয়ার সব কিছু নিজের লিগা এইটারে কয় স্বজনপোষণ।

মা মাটি মানুষ– বড় ভারী স্লোগান!
পঞ্চায়েত শব্দটা কুনোদিন শুনছো হে!
জনাব বাদশা তার পঞ্চায়েত প্রধান।
খড়গুলি সব আমাগো দিয়া
নিজের ঘরে লইলো তুইল্যা বেবাক ধান।

লালন রে, তুমিও নেতা গো ভয় পাও নাকি?
অগো মস্তানির বিরুদ্ধে গান গাইলা তুমি কই, দিলা পুরা ফাঁকি!
কাছের জিনিস দেখলানা তুমি, নাম তো তোমার লালন!
আবাস যোজনার মুদ্রা মাইরা দিয়া নেতারা এখন ধনীজন।

প্রাণে বাঁচলে পেটে বাঁচলে তো তোমার গান গামু!
লালন রে!
ঠাঁইয়ের লিগা, রুটির লিগা,রুজির লিগা একতারাতে বাঁধি গান– কী খামু? কী খামু?