অবতক খবর,২১ নভেম্বর,চোপড়াঃ ঘর থেকে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। মৃত সোমা রায়ের পরিবারের দাবি তাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে তার স্বামী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেপাগাঁও এলাকায়। মৃত ওই দম্পতির নাম নান্টু রায় (২৫) ও সোমা রায় (২০)। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় চোপড়া থানার দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা গিয়েছে সোমবার সকালে ওই দম্পতির ঘর বাঁচার কান্নার শব্দ শুনতে পায় পরিবারের সদস্যরা। অনেক ডাকাডাকি পরেও কোন শারাসব্দ না মেলায় পরিবারের সদস্যরা জানলা দিয়ে দেখতে পায় দুই বছরের শিশু কন্যাটি বিছানায় উপর বসে কান্না করছে। ওই শিশুটির মা বিছানায় শোওয়া অবস্থায় রয়েছে। এবং নান্টু রায় নামে ওই ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষ ভির জমাতে শুরু করে। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটল নান্টু রায়ের পরিবারের সদস্যরা কিছু জানেন না।
অন্যদিকে সোম রায়ের বাবা বাড়ির লোকজনের অভিযোগ বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত তার স্বামী বলে অভিযোগ। সেই অশান্তির কারণেই সোমা রায় কে খুন করে পরে তার স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে সোমার পরিবারের সদস্যদের দাবি।
খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানার পুলিশ দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ব্যক্তি না দুজনে মিলে আত্মহত্যার করেছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।