নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর : ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বিশেষভাবে সচেতন হয়ে উঠছে হিঙ্গলগঞ্জ এর প্রশাসনিক কর্তারা ও তৃণমূলের কর্মীরা। গত বছর মে মাসে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে হিঙ্গলগঞ্জ বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। আম্ফান এর আগে আয়লা, ফনি, বুলবুলের মতো ভয়ানক ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এই প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জ বিভিন্ন এলাকা। সেই ঘটনার যাতে পূর্ণ বৃদ্ধি না ঘটে তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশমতো হিঙ্গলগঞ্জ এর বিভিন্ন দুর্বলতাগুলো মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসনের কর্তারা।
পাশাপাশি বিভিন্ন বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে করোনার কথা মাথায় রেখে চলছে স্যানিটাইজার এর কাজ। ওই সমস্ত আশ্রয় কেন্দ্রে জেনারেটর গুলো সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা বা সেখানে অসহায় মানুষদের এনে রাখলে তাদের কোনো অসুবিধা হতে পারে কিনা তা নিয়েও বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত দু’দিন ধরে সন্দেশখালির প্রশাসনিক কর্তা ও তৃণমূলের কর্মীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে এই ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ কে মোকাবিলা করার জন্য। কোনভাবেই মানুষদের ক্ষতি হতে দেবে না এমনটাই মনোভাব নিয়ে তারা সাধারণ মানুষদের পাশে থাকার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে।
এদিন অর্থাৎ রবিবার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ শহিদুল গাজী, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা সহ বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তা ও তৃণমূলের কর্মীরা হিঙ্গলগঞ্জের মামুদপুর, আমবাড়িয়া, লেবুখালী, দুলদুলি, সাহেব খালি, যোগেশ গঞ্জ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন। এবং যে সমস্ত নদী বাঁধের মেরামতের কাজ চলছে সেগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন তারা।