অবতক খবর,৮ মে,নদিয়া: ফের গুলি চলল রাজ্যে। এবার নদিয়ার চাকদহ। রবিবার সন্ধ্যায় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম নারায়ণ দে। চাকদহ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ। কে বা কারা এই গুলি চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যায় নারায়ণ দে তাঁর বাড়ির পাশের একটি বাগান বাড়িতে বসেছিলেন। সেই সময়ই এই গুলি চালানো হয়। নারায়ণ দে’র বাড়ি চাকদহ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। গুলির খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন এলাকার অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। নারায়ণের গলায় গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে দলীয় কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে ছুটে যান চাকদহ ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধন বিশ্বাস। কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও যান তিনি। সেখানেই সাধন বিশ্বাস বলেন, “নারায়ণ দে আমাদের পার্টির একজন সদস্য। তাঁকে গুলি করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা চাকদহ থেকে কল্যাণীতে নিয়ে এসেছি। দেখা যাক। ডাক্তারবাবুরা দেখছেন। শুনলাম গলায় গুলি লেগেছে। ওর বাড়ির পাশেই একটা বাগান বাড়ি রয়েছে। সেখানেই একটা ঘরে ও ছিল। আশা করছি ও সুস্থ হয়ে উঠবে। এই ঘটনায় দুষ্কৃতীরা করেছে।”

মাস দু’য়েক আগেও নদিয়ায় এক তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। হাঁসখালিতে সহদেব মণ্ডল নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার মাথায় গুলি করা হয়। সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপর বাড়ির কাছেই স্কুলের মাঠে দুষ্কৃতীরা পিছন থেকে গুলি করে। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে এই নদিয়াতেই তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। বারবার নদিয়ায় এই গুলি চালানোর ঘটনা প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।