অবতক খবর,২০ মে,পূর্ব মেদিনীপুর:– চাকরীর নামে প্রতারনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে তৃনমূল নেতা অতনু গুছাইৎয়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালো প্রতারিত ব্যক্তিরা। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক দিন আগে বাতিল হয়েছে ২৬৯ জন প্রাইমারি শিক্ষকদের চাকরি।
তারই মাঝে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠলো কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইতের বিরুদ্ধে। কোলাঘাটে সহ বেশ কয়েকটি এলাকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তোলে অতনু ও তার ভাই শান্তনুর মাধ্যমে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে চাকরির টাকা তুলতেন অতনু ও শান্তনু এমন টাই অভিযোগ।
বার বার তার বাড়িতে গিয়েও বা ফোন করেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় তৃনমূল নেতা অতনু গুছাইতের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। জানা গেছে অতনু বাবু বছর দেড়েক কোলাঘাট থেকে বেপাত্তা। এই দিন বেশ কিছু প্রতারিত ব্যক্তিরা কোলাঘাটে অতনু বাবুর কোলাঘাটের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন ও তাদের টাকা ফেরতের দাবী জানান তারা।
জানা যায়, ২০১৭ সালে কোলাঘাটের বেশ কিছু যুবক যুবতীদের এস এস সি, গ্রুপ ডি, এবং প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছে অতনু বাবুর মাধ্যমে মোটা টাকার বিনিময়ে এমন টাই অভিযোগ। তবে তার পরই কোলাঘাটের বহু যুবক যুবতী চাকরির জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছে।
এমনও অভিযোগ,ঝাড়গ্রামে ফার্মহাউসও করে ছিলেন অতনু বাবু। কারো কাছে ১২ লাখ , কারো কাছে ৫ লাখ, বা কারো কাছে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান কোলাঘাটের তৃনমূল নেতা। এরপর দিনের পর দিন চাকরী না পেয়ে অতনু বাবুর সাথে যোগাযোগ করেও কোন ভাবে সাক্ষাত করেনি।
তবে বেশ কয়েক মাস বাড়ির সবাই বেপাত্তা। বাড়ি রয়েছে তালা দেওয়া অবস্থায়। অবশেষে রবিবার তার বাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতারিত ব্যক্তিরা। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী আগে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন।
তবে দীর্ঘ কয়েক বছর দলের সঙ্গে অতনু বাবুর সাথে দলের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। অনেক দিন আগেই তিনি দল ছেড়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তার অবশ্যই শাস্তি হোক বলেন কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুরজিৎ মান্না। তবে বিজেপি নেতা দেবব্রত পট্টনায়েক জানান, অতনু, শান্তনুর মতো আরও অনেক নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কোলাঘাটে।
যিনি মূল অর্থ নিয়েছেন চাকরীর নামে তার নাম অতনু বাবুরা প্রকাশ করুক। তবে আদৌ টাকা ফেরত পাবেন কিনা প্রতারিতরা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।