অবতক খবর ,রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :- করোনার সংক্রমণে এখন দেশ জুড়ে চলছে আনলক ৫। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গার কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে রাজ্যের অনেক গুলি চটকল। তার মধ্যে অন্যতম আরতি কটন মিলস। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ও চটকল খোলার কথা জানিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ২১টি ট্রেড ইউনিয়ন দাবি জানিয়েছে, খুলতে হবে রাজ্যে বন্ধ থাকা সমস্ত চটকল। আর তার পাশাপাশি, লকডাউনে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে এই ইউনিয়ন গুলি। কিন্তু তার পরেও খোলে নি হাওড়ার আরতি কটন মিলস।

আজকে মিলের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানায় ও এই মিল অবিলম্বে চালু করার দাবি জানায়। চটকল খোলা এবং শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মেটানোর পাশাপাশি আরও সাত দফা দাবি পূরণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শ্রমিকদের দের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে লকডাউন ঘোষণা থেকে এই মিল বন্ধ হয়ে গেছে। লকডাউন উঠে গেলেও এখনো চালু হয় নি মিল। অভিযোগ মিল কর্তৃপক্ষ কে বারবার জানানোর পরেও মিল চালু করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের বকেয়া বেতনও সময়মতো দিচ্ছে না। অথচ মিলে কর্মরত সরকারি স্থায়ী অফিসারেরা মাইনে পাচ্ছেন। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের তরফে আমফানে ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অজুহাতে মিল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দাবি করলেও সেই ট্রান্সফরমার চালু হলেও চালু করা হয় নি মিল এমনটাই অভিযোগ করছেন মিলের শ্রমিকেরা। এই প্রসঙ্গে শাসক দলের নেতা বিভাস হাজরা জানান কেন্দ্রীয় সরকারের এই মিলের সংগ্রামের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। মমতা ব্যানার্জী রেল মন্ত্ৰী থাকাকালীন এই মিল কে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকীকরণ করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার।

এরপরে করোনা আবহে বিগত ৭ মাস ধরে এই মিল বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের দু মাসের মাইনে বাকি রয়েছে। পুজোর মুখে এখনো তাদের বোনাস দেয় নি কর্তৃপক্ষ। তাই তারা বাধ্য হয়ে আজকে ৪ ঘন্টা ধরে মিলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাছেন। তিনি আরও বলেন এই মিলে ৪৫০ শ্রমিক কাজ করেন। মিলে পিএফ, গ্রাচুইটি চালু আছে। কিন্তু সম্প্রতি মিল কর্তৃপক্ষ মিলের জমির মাপের কাজ শুরু করেছে।

তিনি অভিযোগ করেন হয়ত এই মিল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন লকডাউনের পরে যখন সব কিছু খুলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মেট্রো রেল অব্দি চালু করা হয়েছে। তাহলে কেন এই মিল চালু করা হচ্ছে না কেনো সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি দাবি করেন অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, পুজোর বোনাস দিয়ে মিল চালু করা না হলে এরপরে কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের মূল অফিসের সামনে বিক্ষোভে বসবেন তারা।