অবতক খবর: মণিপুর সফরের দ্বিতীয় দিন রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিলেন বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা। রবিবার সকালেই মণিপুরের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী শিবিরের ২১ সাংসদ। ওই স্মারকলিপিতে রীতিমতো ঝাঁঝালো ভাষায় বিজেপি সরকারকে তোপ দাগা হয়েছে ।
ওই স্মারকলিপিতে বিরোধী সাংসদরা বলেছেন, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতর হচ্ছে। ওই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরে ত্রাণ শিবিরগুলি অত্যন্ত অ-স্বাস্থ্যকর। এক একটা ঘরে ৪০০-৫০০ জনকে রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকার কেবল চাল আর ডাল দিচ্ছে। কিন্তু ছোটদের খাওয়ার মতো কিছু নেই। দ্রুত ছোটদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা দরকার।”
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, “আমরা রাজ্যপালকে মণিপুরের দুরবস্থার কথা জানিয়েছি। উনিও আমাদের সঙ্গে সহমত। রাজ্যপালও চান সরকার সবার সঙ্গে কথা বলুক। সব দলকে নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল গড়ে মণিপুরে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন।”
অধীর আরও জানান, রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে রাজ্যপালের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে সংসদে যাতে দ্রুত তাঁদের অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা হয়, সে দাবিও জানিয়ে রেখেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা।
অন্যদিকে, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে । তিনি দাবি করলেন,”মণিপুরে ধারাবাহিক হিংসার নেপথ্যে চিনের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে ধারাবাহিক ভাবে মদত দেয় চিন।
মণিপুর প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেছেন, মণিপুরের অশান্তিতে চিনের ভূমিকা থাকার সম্ভাবনা উপেক্ষা করা যায় না। তিনি এও মনে করছেন, মণিপুরের এই অশান্তি পর্ব জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। তবে একই সঙ্গে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ভারত সরকার চিনের চক্রান্ত সম্পর্কে অবহিত, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত।