অবতক খবর,১১ জুলাই,সনৎ বর্মন,কোচবিহারঃ বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জমা হয়েছে বৃষ্টির জল। জল কমতেই আমন ধান চাষের জমি তৈরিতে ব্যস্ত সমস্ত কৃষকরা। ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের সময় ভেসে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের সাধুর হাট এলাকায় জমিতে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। কে কত বেশি মাছ ধরতে পারে তা নিয়ে রীতিমতো যেন উৎসবের মেধা উঠেছে।
চাষের জমিতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে শরীরে কাঁদা মেখে মাছ ধরায় মেতে উঠেছে। মা-বাবারাও বসে নেই তারাও মাছ ধরছে।
তারাও চালুন ও জাল নিয়ে জমিতে নেমে পড়েছে মাছ ধরতে শিঙি মাগুর সাটিপুটি শারিকা টেংরা সহ বহু প্রজাতির মাছ ধরতে সবাই ব্যস্ত। সকাল থেকে দুপুর অবধি কাদামাটি জলে আনন্দে মাছ ধরছে।
আমন ধানের চারা রোপনের জন্য ফসলের ক্ষেত প্রস্তুতির সময় ট্রাক্টর নামানোর ফলে মাটি হয়ে যায় কাদা। আর এই কাদার ভেতরে দাপাদাপি করে ছোট ছোট দেশীয় মাছ।
স্থানীয় কৃষক জগদীশ বর্মন বলেন, প্রচন্ড রোদে ট্রাক্টার দিয়ে জমি চাষ করতে গিয়েই জমিতে প্রচুর মাছ দেখতে পাই। পরে আমিও মাছ ধরতে নেমে পড়ি।
শ্যামল বর্মন জানান, জল কমলেই ধানের জমিতে শুরু হয় মাছ ধরা। এটাই গ্রামের চিরায়ত নিয়ম। এ সময়টাতে টাকা দিয়ে মাছ কিনতে হয় না আমাদের মাছ দেশীয় মাছের স্বাদেই আলাদা।
স্থানীয় গৃহবধূ গোলাপী বর্মন বলেন প্রায় এক কেজির মতো মাছ পেয়েছি খাওয়ার জন্য রেখে বাকি মাছ শুকিয়ে শিথিল বানাবো। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের এটি একটি অন্যতম খাদ্য। যাকে সিদল বলা হয়। পথ চলতি বহু মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাছ ধরার সেই দৃশ্য উপভোগ করেন।