অবতক খবর,১০ নভেম্বর,নববারাকপুর : সবুজ এলাকা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে সিমেন্ট বালির বড় বড় ইমারতে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। তবে এবার শহর লাগোয়া নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার তরফে এলাকার ইকোসিস্টেম বায়ো ডাইভারসিটি বজায় রাখতেই নেওয়া হল অভিনব পদক্ষেপ। রবিবার সকালে পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এপিজে আবদুল কালাম নামাঙ্কিত উদ্যানের সাত নম্বর ঝিলে এদিন ছাড়া হল দশটি হাঁস।

ছিলেন স্থানীয় পুর প্রতিনিধি তথা পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, সমাজসেবী মৃদুলা সাহা সহ ওয়ার্ড কমিটি এবং সংঘের সদস্যরা। পুরপ্রধান প্রবীর সাহা জানান, এটি একটি বায়ো ডাইভারসিটির কাজ করার চেষ্টা। এই এলাকার এ পি জে আবদুল কালাম এর নামাঙ্কিত পার্কে রয়েছে প্রচুর গাছ।

বেশিরভাগই রয়েছে ফলের গাছ। পরবর্তী সময়ে এখানে বহু পাখি আনাগোনা করবে, পুকুরে রয়েছে মাছও, ফলে এটিতে সুন্দর একটা ইকোসিস্টেম তৈরি হবে। সেই লক্ষ্যেই এদিন এই পার্কেই হাঁস ছাড়া হল এবং তা প্রতি পালনের জন্যও সব রকম ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল পৌরসভার তরফে। শুধু তাই নয় এর ফলে তৈরি হল কর্মসংস্থানও। এরই পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ছয় নম্বর ঝিলে এলাকার প্রতিমা বিসর্জন হয়। তাই সেখানে তৈরি হচ্ছে একটি সুন্দর বিসর্জনের দেবী ঘাট। তৈরি হবে গ্রীন পার্কও, যেখানে থাকবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড এর নজর কাড়া বিনোদন। সঙ্গে থাকবে ক্যাফেট এরিয়া।

অতীতে বাম জমানায় যে সমস্ত পুকুর ভরাট করা হয়েছিল তা পুনরায় সংস্কার করা হচ্ছে বলেও এদিন জানান পৌরপ্রধান। নিউ ব্যারাকপুর এলাকার সাতটি পুকুরকে সংস্কার করে নতুন ভাবে রূপ দেওয়া হবে বলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান প্রবীরবাবু। হাসির খাওয়ার থেকে শুরু করে পার্কের পরিচর্যা পরিচ্ছন্নতা সহ নানা কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন পৌরকর্মীরা ফলে কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গড়ে উঠছে।

এই পার্কে পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু হাঁস ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তারফলে, চারদিকে গড়ে ওঠা বহুতলের আবাসনের মাঝেই এই পার্কে আসলে নিউ ব্যারাকপুর এলাকার মানুষজন পাবেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।