অবতক খবর: নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ও অন্তর্বতী জামিনের আরজি নিয়ে আদালতে ধৃতের আইনজীবী। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
কলকাতা নগর দায়রা আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র’র আইনজীবী এসএসকেএমের রিপোর্ট পেশ করে আদালতে বলেন, অপারেশন ১০০ শতাংশ সফল হয় না। পাশাপাশি এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়েও খানিকটা সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। আইনজীবীর আরজি, সুজয়কৃষ্ণকে যেন তাঁর পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে ও পছন্দের চিকিৎসকদের কাছে অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু ইডির এই আরজির বিরোধিতা করে।শুনানি শেষে আদালত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আরজি খারিজ করে আদালত। এসএসকেএমেই চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই শুক্রবার নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গেলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী।
এর আগে হৃদযন্ত্রে সমস্যার কথা জানিয়ে নিয়োগ মামলায় জামিন চান ইডির হাতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। ধৃতের আইনজীবী সেলিম রহমান জানান, সুজয়কৃষ্ণের ধমনীতে তিনটি ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়েছে। ‘বাইপাস সার্জারি’ করা হতে পারে তাঁর। সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা কী, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে কলকাতা নগর দায়রা আদালত। এই মামলাতেই উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন অভিযুক্তের।
গত ১৭ জুলাই প্যারোলের মেয়াদ শেষের পর সুজয়কৃষ্ণকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফেরানো হয়। জেলে ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিনই ভর্তি করানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সদ্য সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে মৃত্যুর সময় স্ত্রীর কাছে থাকতে পারেননি সুজয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থাতেই স্ত্রী বিয়োগের খবর পেয়েছেন তিনি। তারপর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে সুজয়কে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলের মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মুক্তির পাশাপাশি ‘কালীঘাটের কাকু’র জন্য বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছিল আদালত।