নিজস্ব প্রতিনিধি : রবিবার রাতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষের জেরে অস্বস্তিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জেএনইউ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে শিক্ষাঙ্গনের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা জন্য দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
রবিবার রাতে মুখোশধারী জনা ৫০ লোক জেএনইউ ক্যাম্পাসের মহিলা হোস্টেলে ঢুকে পড়ে। লোহার রড, ক্রিকেটের উইকেট হাতে নিয়ে উন্মুক্ততের মতো আচরণ করে। এই হামলার অন্য এসএফআই অভিযোগ করেছে এবিভিপির বিরুদ্ধে। রাতের এই তান্ডবের জেরে জেএনএইউর মহিলা সভানেত্রী সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি।গোটা ঘটনার জন্য পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং দিল্লি পুলিশের দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছে।
আর এই অভিযোগ ওঠার পরেই দেশের বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার নড়েচড়ে বসেছে। জেএনইউর পড়ুয়াদের অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দিল্লির উপরাজ্যপালকে বৈজলকে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছেন।
কয়েকদিন আগেই সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশের রাজধানী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই সময়ে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এই ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে ‘টুকরো টুকরো গ্যাং’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর রবিবারের ঘটনায় কেন্দ্র সরকার অনেকটাই ব্যাকফুটে, বিশেষত, পড়ুয়া এবং অধ্যাপিকা নিগ্রহ কাণ্ডের জেরে।
এদিকে, রবিবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসের মহিলা হোস্টেলে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা দিল্লি পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদতে এবিভিপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।পড়ুয়াদের তরফ থেকে অভিযোগ, হোস্টেলে আলো নিভিয়ে দিয়ে গোটা হামলা চালানো হয়েছে।
রবিবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসের ঘটনায় এসএফআই এবং এবিভিপির বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্র্তি রয়েছে।