অবতক খবর,২০ ফেব্রুয়ারি : কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতা(ডিএ)-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩৬ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে দু’দিনের পেন ডাউন বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থমকে গিয়ে সাধারণ মানুষের চরম হয়রানির আশঙ্কা রয়েছে৷

রাজ্য সরকার এই কর্মবিরতি মোকাবিলায় কঠোর আবস্থান নিয়েছে। শনিবারই সরকারি নির্দেশিকা দিয়ে রাজ্যের অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ জানিয়ে দিয়েছেন, খুব জরুরি চারটি কারণ ছাড়া কেউ কাজে যোগ না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ‘ডাইজ নন’ বা চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা গত শুক্রবার বা ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও বাধ্যতামূলক ভাবে কাজ যোগ দিতে হবে। না দিলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

রাজ্যের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে যৌথ মঞ্চ পাল্টা চিঠি দিয়ে অবিলম্বে এই কালা নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করা হলে পাল্টা আইনি লড়াইয়ের কথা জানিয়ে দিল। যৌথ মঞ্চের এই কর্মবিরতির প্রতিবাদে তৃণমূল রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন টিফিনের সময় মিছিল ও সভা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলের পক্ষে কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা।

রবিবারই ই-মেল করে মঞ্চের আইনজীবি প্রবীর চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের অর্থ দফতরের ভাহরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর এই নির্দেশিকা বেআইনি এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন। ডিএ কর্মচারীদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে। কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চকে জানিয়েই এই আন্দোলনে বসেছেন কর্মচারীরা। এই আন্দোলন করার জন্য ‘ডাইজ নন’ বা তাঁদের কর্মজীবনে ছেদ পড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

চিঠিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ই-মেল পাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাজ্যের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে  নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, যাঁরা এই দু’ দিন অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের দু’ দিনের জন্য কোনও বেতন দেওয়া হবে না। এবং তাঁদেরকে শোকজ করা হবে। শো কজের জবাবের ব্যাখ্যা যথাযথ না এলে বিভাগীয় তদন্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে বলেও অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার কর্মবিরতির কী প্রভাব সরকারি দফতর গুলিতে পড়ে, সেটাই দেখার।