অবতক খবর,৩০ ডিসেম্বর: ডানকুনি পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডে , পুকুর বোজাই কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড। সাধারণ মানুষের অভিযোগ। যে পুকুর বুঝিয়ে নাসিম আলী বরকন্দাজি প্রোমটিং করছেন সেই জায়গাটি , সাধারণ মানুষের এবং এলাকাবাসীর আপত্তি পুকুরকে বুঝিয়ে কোনরকম ফ্ল্যাট বাড়ি কোনো রকম কোনো কিছু করা যাবে না। সাধারণ মানুষের অভিযোগ যে দীর্ঘ 80 বছর ধরে পুকুরে ছিল এবং সেটিকে বর্তমানে বোঝাচ্ছে নেই নাসিম আলী বরকন্দাজি সেটিকে তারা হতে দেবেন না , পুকুর বোঝাই হবে না এবং তারা পুকুরটাকে পুকুর হিসেবে দেখতে চাই যাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না হয়।
অন্যদিকে জমির মালিক তথা প্রোমোটার নাসিম আলী বরকন্দাজি বলছেন। এটি পুকুর নয়। কিছু কারণে পূর্বপুরুষের কারণে কোথাও বিভ্রাটের কারণে এবং এলাকার লোক এখান থেকে মাটি নিয়ে নিজেদের জমি উঁচু করেছে তার ফলে এখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এখানে জল জমতো , এটা পুকুর নয় এবং তিনি কিছু কাগজপত্র দেখিয়েছেন সরকারি কাগজপত্র সেখানে দেখা যাচ্ছে 781 নম্বর দাগে জমিটি বাস্তু জমি বলে উল্লেখিত রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার দপ্তর এর কাগজেও উল্লেখিত জমিটি 781 দাগের জমিটি বাস্তূ রূপেই দেখা যাচ্ছে সেখানে। এবং ডানকুনি মিউনিসিপ্যালিটি এটাকে পাস করিয়ে দিয়েছেন এবং তারা প্লান পাস করেছেন সবরকম অ্যাপ্রভাল দিয়েছেন। যাতে নাসিম আলী বরকন্দাজি প্রোমোটিং করতে পারেন , উল্টোদিকে সাধারণমানুষ বলেছেন যে এটি দীর্ঘদিন ধরে পুকুর ছিল তাকে বোঝাতে দেয়া যাবে না। জমির মালিক প্রমোটার নাসিম আলী বারকান্ডাজি বলছেন এনারা আমার এই জায়গাটাতে তাদের নোংরা ফেলতেন এবং সেখানে নোংরা খেলা বন্ধ হয়ে যাবে এবং তারা মাটি কেটে কেটে নিয়ে তাদের জমি ভরাট করেছে, ফ্ল্যাট হলে প্রতিবেশিদের জমি ভরাট বন্ধ হয়ে যাবে তাই তারা বাধা দিচ্ছেন।
এবং জমির মালিক একটি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি বলছেন ইসমাইল মোল্লা এবং নজরুল মোল্লা নামের দুই ব্যক্তি তার থেকে আড়াই লাখ করে 5 লক্ষ টাকা চেয়েছে যে এই জমিতে কাজ করতে দেবো না যদি আমাদের আড়াই লক্ষ লক্ষ করে 5 লক্ষ টাকা দুজনকে না দেওয়া হয়। এই নিয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এখন দেখা যাক প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেন পুকুর এটা কি নাকি বাস্তূ জমি কে জেতে এই কাজে সাধারণ মানুষের জয় হবে নাকি প্রোমোটারের জয় হবে দেখা যাবে শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা , যে এই জায়গাটা কিভাবে কিভাবে কি হবে?