তপন সিংহ চলমান চিত্রকর সিনেমায়।
হাঁটতে হাঁটতে আমাদের কতদূর নিয়ে যায়!
আমাদের ঘুম কি ভাঙে?
জাগো! বলে ডাক দিয়ে যায়।
চলে গিয়েছে সে ১৫ জানুয়ারি ২০০৯।
এসেছিল সেই একদিন ২ অক্টোবর,১৯২৪
এই বঙ্গোপসাগরের আঙিনায়।
তপন সিংহ
তমাল সাহা
তোমারও কিছু কম দোষ ছিলনা
মস্তানি শেখালে আমাদের সত্তর দশকে।
রবি ও ছেনোকে ঢুকিয়ে দিলে পাড়ায়।
আপনজন সেই প্রৌঢ়া ছায়াদেবী
কেমন ভালোবাসা ছড়ায়!
ঘটমান সময়,কালস্রোত বইছে হাওয়ায়
এখনই-তে দেখালে
পালোয়ানি বৃত্তির বিরুদ্ধে
দুর্দান্ত কলমকে অস্ত্র করে কবি ছুটে যায়।
হাটে বাজারে ডাক্তারবাবুর কথা মনে পড়ে
কত সব বিচিত্র চরিত্র তোমার ক্যামেরা ধরে।
জেলযন্দীর জীবন দেখালে লৌহকপাটে,
হাঁসুলি বাঁকের উপকথায় গ্রামীণ জীবন
ভেঙে খানখান।
সেই উপাখ্যানে
তারাশঙ্করকে দিয়ে লিখিয়ে নিলে গান।
সাগিনা মাহাতো সে এক আশ্চর্য কামগার।
প্রশ্ন তুলে দিলে
ট্রেড ইউনিয়ন কি কখনো হতে পারে
দালালদের কারবার?
মিনিকে ভালোবেসে ফেললো কাবুলিওয়ালা
বাৎসল্য দেশকালের ঊর্দ্ধে
জয়ের পতাকা তুলে ধরে জানালে বারবার।
আদালত ও একটি মেয়ে–
হায়, মেয়েরা কত অসহায়!
এক ডক্টর কি মউত-এ সমাজের ঘৃণিত পরিবেশ প্রতিবিম্বিত হলো পর্দায়।
আতঙ্ক! আপনি দেখেন নি মাস্টারমশাই–
সংলাপ হয়ে গেছে প্রবাদ
বাঙালি তোমাকে জীবন থেকে কি করে দেবে বাদ?
সাজানো বাগান সাজায় কে?
সে তো বাঞ্ছারামের অধিকার।
গল্প হলেও সত্যি-তে এক বাবুর্চি তুমি–
দেখাও বাস্তব, কি করে ভাঙে মধ্যবিত্ত পরিবার।
হুইল চেয়ারে বসো নি কোনোদিন।
কে প্রতিবন্ধী?
চেতাবনি দেখাও লড়াকু মেজাজে।
তোমার ক্যামেরা চলতেই থাকে এই বিপন্ন সমাজে।
জনারণ্যে সিংহ হয়ে গেল গর্জনের প্রতীক
তপন তো ছড়িয়ে দিলো আলো।
হেঁটে হেঁটে চলে গিয়েছো নক্ষত্র সুদূর,
সেখানে থাকো তুমি ভালো।