অবতক খবর , সৌম্য , পূর্ব মেদিনীপুর :- তমলুক থানার খারুই গ্রামের প্রায় ৩২৫ বছরের কালী মন্দিরে ধুমধাম করে কালী পুজো। বছর আগে খারুই গ্রামেরই ব্রাহ্মণ ভুবনানন্দ চক্রবর্তী স্বপ্নে আদেশ পান পুকুর পাড়ে কালীমাতা বিরাজ করেছেন। তাকে কুঠিরের এনে পুঁজো আর্চনা করতে আদেশ দেন । তৎক্ষণাৎ ব্রাহ্মণ ভুবনানন্দ চক্রবর্তী পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন একটি পাথরের মূর্তিপড়ে আছে , তৎক্ষনাততি পাথরের মূর্তিটি এনে পুজো করা আরম্ভ করলেন।

সেই থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার খারুই গ্রামের প্রায় তমলুক থানার খারুই গ্রামের প্রায় ৩২৫ বছরের কালী মন্দিরে ধুমধাম করে কালী পুজো। বছরের কালী মন্দির ধুমধাম করে কালী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

এখানে গ্রামের আরাধ্য দেবতা হিসাবে কালীমাতা পূজিত হন। এর কিছুদিন এর পরেই জমিদার রাঘব রায়চৌধুরী ছেলে অসুস্থ হন কোন কবিরাজি সুস্থ করতে পারলেন না জমিদার রাঘব রায়চৌধুরীকে কালী মা স্বপ্নের মধ্যে দেখা দিলেন যে ব্রাহ্মণ বাড়িতে আমি বিরাজ করেছি আমাকে প্রতিষ্ঠিত করে মন্দিরে বসাও , তাহলেই তোমার ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। পরে জমিদার কালিমার পুজো দেন এরপরই তার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠেন।

এর পরেই জমিদারের কালী মাতার মন্দির তৈরি করে দেন ও প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ১৪১ বিঘা জায়গা দিয়ে ব্রাহ্মণ দের সেবায়েত করেন।

 

বেশ কিছুদিন পর ওই কালীমন্দির এই ডাকাতি করার জন্য একদল ডাকাত আসেন কিন্তু ডাকাতি করার আগেই এদের মুখ ও চোখ বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ কালী মার কাছে আশ্রয় নেন এর পরেই এদের মুখ ও চোখ খুলে যায়। এর পরেই ডাকাতেরা তাদের অস্ত্র ছড়া ও ছুরি মায়ের কাছে অর্পণ করেন। এখনো মন্দিরে ওই ডাকাতদের ছড়া গুচ্ছিত করে রেখেছেন মন্দিরের সেবায়েত রা। ডাকাত রা কালীপুজোর সাথে যুক্ত হন।

 

এখনো গ্রামের এই পথাই চলে এসছি কালীপুজোর দিন ই মহা ধুমধাম করে পূজিত হন। এখানে মূলত চণ্ডী মা ও কালী মা রূপে পূজিত হন। পুজোর দিন এখানে ছাগ( পাঠা) বলি হয়ে থাকে। এখনো মায়ের প্রতিদিনই অন্নভোগ দিতে হয় এখানে আমিষ দিয়ে এই মায়ের ভোগ হয়।
দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন মন্দির চত্বর সেজে উঠে ও মহাধুমধামে পূজিত হন চণ্ডী মা ও কালী মাতা।