অবতক খবর,২০ মার্চ: তিলজলা গুলি কাণ্ডে শুরু ধরপাকড়। মূল অভিযুক্তের ভাই রিবোধ রাইকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া ব্রম্হস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। মূল অভিযুক্তে মা এবং দিদিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত। ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তরা।

তিলজলার তাড়িখানা রোড এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে অশান্তি চলছিল। তার ফলে চাপা উত্তেজনা ছিলই। শনিবার সাতসকালে রাজু রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাজার সেরে ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় এলাকারই বাসিন্দা জীবোধ রাই এবং তার ভাইয়েরা রাজুর পথ আটকায়। কথা কাটাকাটি হয়। বচসা মেটাতে আসরে নামেন রাজুর বাবা ডাবলু রায়। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, বচসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে তিন রাউন্ড গুলি চলে। তাতেই রাজু জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রাজুর বাবাও জখম হন। দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁদের।

খবর পাওয়ামাত্রই ডিসি (এসিডি)-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে পিছু ধাওয়া করেও অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। একেবারে ফিল্মি কায়দায় একের পর এক বাড়ির ছাদ পেরিয়ে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্তরা। এরপর রাতভর চলে তল্লাশি। তিলজলা থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা রবিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া থেকে অভিযুক্ত জীবোধের ভাই রিবোধকে পাকড়াও করে। এদিনই তাকে আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা। রিবোধকে জেরা করেই বাকি অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় রিবোধের মা এবং দিদিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিলজলা গুলি কাণ্ডের পর চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। রবিবার সকালেও থমথমে গোটা এলাকা। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব প্রায় সকলেই।