একটি স্বদলীয় প্ররোচনা, একটি আত্মহত্যা
আমাকেও খুন করো হে ঘাতক! চাইনা নিরাপত্তা।
সকালে উঠেই মৃত্যুলেখা লিখি আজ
চারিদিকে শুনি ধ্বংসের তুমুল আওয়াজ।
তুহিনার মুখ
তমাল সাহা
রাজা-বাদশারা সব পারে, কত কি পারে,
তুমি জানোনা!
তুমি কি ইতিহাস পড়োনি তুহিনা?
ভোট কতদূর গেলে তরুণী আত্মহত্যা করে?
ভয় সন্ত্রাস শব্দগুলি দ্রুত হাঁটাচলা করে।
ভোটগন্ধী সবুজ আবীরে মহাশূন্য ভরে যায়।
চোখের সামনে ভয়ঙ্কর ডিজের আওয়াজ–
জয়ের উল্লাস ধ্বনি
বেপরোয়া বাতাসে দূর থেকে দূরান্তে ধায়।
আবীর শব্দটিতে বীর শব্দটি বিক্রমে লুকিয়ে থাকে
পলল ভূমিতে ঘাসফুল ফোটে পাড়ায় পাড়ায়।
ভোট আসে ভোট যায়
পাড়ার মেয়ের দেহ ফাঁসি-রজ্জু থেকে পুলিশ নামায়।
অক্ষরের বদলে আগুন লিখবে কবে খাতার পাতায়?
তোদের তিন বোনকে গলায় দড়ি দিয়ে মারবো–
বাড়ির দেয়ালে ছবি ছিল চিত্রকরের আঁকা।
প্রমাণ হয়ে গেল এই লিখন ফাঁকা নয়, পুরোপুরি পাকা।
তুই মরলি,
দুই দিদিকে চুলের মুঠি ধরে অত্যাচার করে দূঃশাসন
মহাকাব্য মহাভারতের পর্ব এই ভূমিকে করে পরিক্রমণ।
আমি শুধু দেখি
জোরকদমে পদশব্দ তুলে হেঁটে যায় নির্বাচন!