অবতক খবর,২৮ আগস্ট: বর্ধমান শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী অশোক মাঝি খুন হয়েছেন গোষ্ঠীবিবাদের জেরে।
সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দলেরই সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব।
তাকে আজ দলেরই দু দুটি কর্মসূচিতে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ সহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়াও অভিযুক্ত আরো দুই সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও আব্দুর রব।
এদিন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তিনি দলের পতাকা উত্তোলন করেন।
অন্যদিকে শহরেরই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রক্তদান শিবিরেও তাকে বিধায়ক খোকন দাসের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়।
দলের গোষ্ঠীবিন্যাসে অভিযুক্তরা বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির শহর কনভেনর কল্লোল নন্দন।
তিনি জানান,গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি না সবাই জানে। তবে তা হোক বা না হোক একজন লোক খুন হয়েছে। তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।তিনি দলের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।এতে দলই কলুষিত হচ্ছে। আর প্রশাসন নির্বিকার হয়ে দেখে যাচ্ছে।তাদের উচিত যথাযথ তদন্ত করে গ্রেপ্তার করা।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,এটা দলের কোন অভিযোগ ছিল না। নিহতের পরিবার এই অভিযোগ করেছে। নিহত তৃণমূল কর্মী। সেখানে দলের জেলা সভাপতি সহ অন্যরা গিয়েছিলেন।পুলিশ পুলিশের মত করে তদন্ত করছে।এতে আমাদের বলার কী ই বা থাকতে পারে?পুলিশ যেভাবে মনে করবে তদন্ত সেভাবেই চলবে।আইন আইনের পথেই চলবে।
প্রসঙ্গত তৃণমূলকর্মী অশোক মাঝি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
শিবশংকর ঘোষ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামী বলে পরিচিত।বুধবার রাতে স্পেশাল অপারেশন টিম শক্তিগড় থেকে শিবশংকরকে গ্রেপ্তার করে।
অশোক মাঝির স্ত্রী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিমের পক্ষ থেকে করা অভিযোগ পত্রে শিবশংকর ঘোষ, অন্য আর এক প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব ও প্রাক্তন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদকে মূল অভিযুক্ত বলা হয়।
শিবশংকর ঘোষকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা এখনও অধরা। বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান, পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এফ আই আরে নাম থাকলেই যে গ্রেপ্তার করা হবে তা ঠিক নয়। নাম না থাকলেও কেউ গ্রেফতার হতে পারেন।