অবতক খবর: এক সপ্তাহ পরে শুক্রবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ধর্মতলায়। এদিন, শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চের খুটিপুজো করা হল । যুব তৃণমূল এই কর্মসূচির আহ্বায়ক এবং যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ । এই কর্মসূচিতে এসে সায়নী ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন।
সায়নী বললেন, ‘‘রাখে হরি তো মারে কে! আর মারে হরি তো রাখে কে! বাংলার মানুষ পঞ্চায়েতের ফলাফলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্যে তলব করেছিল ইডি। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফের তৃণমূল যুবনেত্রীকে ৫ জুলাই তলব করা হয় সিজিওতে। কিন্তু প্রচারের ব্যস্ততার কথা বলে সায়নী সে দিন আর যাননি। আইনজীবী মারফত নথিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
খুঁটিপুজোর পর সায়নী বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থার ওপর নানারকম চাপ থাকে। তাঁরা ডাকতেই পারেন। তাঁদের এক্তিয়ার আছে তলব করার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারকেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এ সব করে কখনওই তৃণমূলকে আটকানো যায়নি, যাবেও না।’’ এরই সঙ্গে সায়নী আরও বলেন, ‘‘ভোটের আগে বহিরাগতদের পাঠিয়ে ভেবেছিল মানুষের মন জয় করবে। কিন্তু মানুষ পঞ্চায়েতে বুঝিয়ে দিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নী ঘোষের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, তা-ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের নীচে রয়েছে। সায়নীর নতুন ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার তরফে । এখন ভোট মিটে গিয়েছে। যুব তৃণমূল নেত্রী আবার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে হাজিরা দেয় না কি ইডি এই তদন্তে অন্য কাউকে আবার তলব করে এর দিকে নজর থাকবে।