অবতক খবর,৪ অক্টোবর: তৃণমূলে যোগ দিয়েও গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলে কাজে বাধা পাচ্ছে নেতা ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাজল আলির
পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে বোমা ফাটালেন কাজল আলি।
বিজেপির ভরা রমরমা বাজারে একসময় হলদিয়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল কোলাঘাট ব্লকের কাজল আলী। কিন্তু ২০২১ শের ভরাডুবির পর ১২০০ বিজেপি কর্মীকে নিয়ে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর হাত ধরে পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল কোলাঘাট ব্লকের বিশিষ্ট সমাজসেবী কাজল আলি। এমনিতেই তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন, অসহায় গরীব মানুষের পাশে তিনি বরাবরই থাকেন, যে কারনে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে তাঁদের বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে সহযোগীতা করতেন, দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে তিনি বরাবরই কিছু না কিছু জিনিস তুলে দেন তাঁদের হাতে। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের তৃণমূলের সাথে কোলাঘাট ব্লক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ করেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাজল আলি।
মেচেদার সেলিম আলির সাথে তমলুকের দীপেন্দ্যু রায় ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আতেয়ার রহমানের দুই গোষ্ঠীর দলাদলিতে ঝুলছে কাজল আলি। দুই গোষ্ঠী দুদিক থেকে তাঁদের কাছে নতুন দলীয় পতাকা ধরার জন্য একপ্রকার চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে তমলুকে এক সভায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর হাত ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু প্রবল গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারনে কাজল আলি অস্বস্তিতে পড়েন,তৃণমূলের ওপর নেতৃত্ব স্বচ্ছ থাকলেও নিচু তলার তৃণমূল নেতাদের নীতি আদর্শ কার্যকলাপ জরাজীর্ণ, পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের দলাদলীতে নিচু তল ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।