অবতক খবর,২৭ জুনঃ বিতর্কিত ত্রিফলা এড়িয়ে এবার এক ফলা বাতিতে সাজবে শহর কলকাতা।
ত্রিফলার বদলে এক ফলা। তিলোত্তমা নগরীতে সৌন্দর্যায়নের এক নতুন পালক। বিতর্কিত ত্রিফলা এড়িয়ে এবার এক ফলা বাতিতে সাজবে শহর কলকাতা। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিলোত্তমা কলকাতা নগরীর সৌন্দর্যায়নে জোর দেয় কলকাতা পুরসভা। কলকাতার সৌন্দর্যায়নে নতুন পালক যোগ হয় ত্রিফলা বাতি। ২০১২ সাল থেকে এই বাতি লাগানো শুরু হয়। ২০১৪ সালে ত্রিফলা বাতি লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়।
শহর জুড়ে এই বাতি নিয়ে নানান বিতর্ক দানা বাঁধে। বর্ষাকালে এই বাতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার নজিরও তৈরি করে। ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ থেকে বিদ্যুতে আহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এবার শহরে নিরাপদ সৌন্দর্যায়নের নতুন বাতি এক ফলা।
কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ বিভাগ, সন্দীপ রঞ্জন বক্সী বলেন, “ত্রিফলা বাতি পুরনো হয়ে যাওয়ায় অনেক জায়গাতেই ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ছিল। সেগুলিকে মেরামত করে এক নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। এতে শহরের সৌন্দর্যায়নের দৃশ্যপট বদল হবে। কয়েক বছর পর পর এরকম বদল আনা জরুরি। এর ফলে আর্থিক সাশ্রয় হবে।” ত্রিফলার থেকে অনেক উন্নত মানের এই আলো বলে দাবি করেন মেয়র পরিষদ।
কলকাতা পুরসভার প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডে এই ত্রিফলা বাতি লাগানো হয়েছিল। শুরুটা হয়েছিল হরিশ মুখার্জি রোডে। কালীঘাটের হরিশ মুখার্জী রোড এবং সদানন্দ রোডে ইতিমধ্যেই তিন বাতিল ত্রিফলা ছেড়ে আবার নতুন করে বসছে এক ফলা।নতুন ধরনের এই বাতিতে শহরের সৌন্দর্য যেন এক নতুন মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “নতুন ধরনের এই বাতিতে শহর সাজবে। ত্রিফলার থেকে অনেক নিরাপদ এই এক ফলা বাতি।”
একনজরে ত্রিফলা থেকে এক ফলা বাতির যাত্রাপথ।
২০১২ সালে শুরু হয় ত্রিফলা বাতি লাগানোর কাজ। কালীঘাটের হরিশ মুখার্জি রোড থেকে শুরু হয়।
২০১২ সালে বিদ্যুতের খরচ ২ কোটি টাকা।
২০১৪ সালে ত্রিফলা বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয় শহর জুড়ে। সে বছর বিদ্যুতের বিল আসে 18 কোটি টাকা।একফলা বাতিতে আলো বেশি, বিদ্যুৎ এর খরচ কম।এক ফলা বাতি দুর্ঘটনার প্রবণতা/সম্ভাবনা কম।
বেশিরভাগ ত্রিফলা বাতিকে সংস্কার করে এক ফলা তৈরি করা হচ্ছে। এটি তৈরি খরচ অনেকটাই কমবে।
দু’বছর পর সিরিয়াল আলোর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যেমন কমবে তেমনই একফলা আলো কলকাতার সৌন্দর্যায়নে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।