অবতক খবর,নিজস্ব প্রতিবেদন,১৮ আগস্ট :: দত্তপুকুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বুধবার রাতে এক তৃণমূল নেতার উপর অতর্কিত হামলা, অভিযোগ আর এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে আসে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। অভিযোগ দত্তপুকুরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কাশিমপুর পঞ্চায়েতের পরিষদীয় দলনেতা অমল কুমার বিষ্ণুকে ভরসন্ধ্যায় প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত চালায় একদল দুষ্কৃতি। দত্তপুকুর এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনছিলেন কাশিমপুর পঞ্চায়েতের পরিষদীয় দলনেতা অমল কুমার বিষ্ণু। তখনই একদল দুষ্কৃতী এসে তার উপর আক্রমণ চালায়,মারধর করে, পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা তুলে নেয়, তার চশমা ভেঙে দেয়, একই সাথে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
তবে জনবসতি থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গেলেও তাকে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় ২৫-৩০ জনের দল এসেছিলো বলে অভিযোগ করেন অমল বাবু এবং তাদের মধ্যে অনেককেই চেনেন তিনি। এই ঘটনা জানা জানি হতেই দত্তপুকুর সহ শিবালয় গোটা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়, আন্দোলনে নামেন। অমল বাবু তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চতর নেতৃত্বের সাথে কথা বলেন, একই সাথে অভিযুক্তদের নামে দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। অমল বাবু জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই দত্তপুকুরে একাধিক দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন, কখনো প্রকাশ্য মাইকে আবার কখনো রাস্তায় দাঁড়িয়ে, আর এর ফলেই ভরসন্ধ্যায় তার উপর আক্রমণ।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে দত্তপুকুর থানায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। এই ঘটনার পরে দত্তপুকুর থানার সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তবে প্রশ্ন, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার উচ্চ নেতৃত্ব যতই বলুক দলের মধ্যে কোন গোষ্ঠীদন্ধ নেই, কিন্তু একের পর এক ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষ্ঠিদন্ধ প্রমাণ পাচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।