অবতক খবর:দলের কাছে চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে চেয়ে আবেদন ফালাকাটার তৃণমূল পুরপ্রধান প্রদীপ মুহুরির। ‘বোর্ড গঠনের দেড় বছর পরেও নেই স্থায়ী পুরসভা ভবন’। ‘নেই পর্যাপ্ত কর্মী, নেই ইঞ্জিনিয়ার’। ‘বাড়ছে মানুষের প্রত্যাশার চাপ, করা যাচ্ছে না কাজ’। চেয়ারম্যানের দাবি, চাপের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি চেয়ারম্যান প্রদীপ মুহুরির। ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপির কটাক্ষ তৃণমূলে ভাল মানুষের জায়গা নেই।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ছুটির দিন বাদে যে কোনও কাজের দিন ঠিক বেলা ১১টায় নবগঠিত ফালাকাটা পুরসভার অস্থায়ী অফিস চত্ত্বরে ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ে এক ছবি। মাথায় চরা রোদ হোক কিংবা বর্ষা কাজের বিরাম নেই ফালাকাট পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ মুহুরির। অবসরপ্রাপ্ত অর্থনীতির হাইস্কুল শিক্ষক সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন না। সকাল হোক বা সন্ধে মানুষ ডাকলেই সাইকেল চেপে শহরের ১৮ টি ওয়ার্ডে ছুটে বেড়ান চেয়ারম্যান। নিজের চোখে সমস্ত পুর নাগরিক সমস্যা খতিয়ে দেখাই তাঁর দস্তুর হয়ে উঠেছে।
অফিসের চেয়ারে বসে প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে মানুষের অভাব অভিযোগের কথাগুলি মন দিয়ে শুনছেন হাসিমুখে। আবার কখনও শহরের কর কাঠামো ঠিক করতে বাসেই ছুটছেন জেলা শহর আলিপুরদুয়ারে।ফালাকাটার প্রথম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রয়াত সভাপতি শ্যামল ভদ্রের হাত ধরে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসেন প্রদীপ মুহুরি। একবার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিও ছিলেন।আদতে কোচবিহারের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বহুদিন ধরে ফালাকাটার সুভাষ কলোনিতে বাড়ি করেন। এর সুবাদে শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়েছেন তিনি। স্থানীয় যাদবপল্লি হাইস্কুলে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার জন্যে শহরটিকে চেনেন হাতের তালুর মতো। বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করলেও বাম-ডান কিংবা গেরুয়া শিবিরের সকলের সঙ্গে হেসে কথা বলাটাই প্রদীপ মুহুরির অন্যতম ইউএসপি।