অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :     ২০১৪ সালের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া লোকাল পার্টি অফিস খুলল সিপিএম। এক সময়ের সিপিএমের গড় হিসেবে পরিচিত হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায় দলের এই অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী মোহন্ত চ্যাটার্জির উপস্থিতিতে ফের এই পার্টি অফিস খোলা হল। দলের এই দ্বিতল ভবনে উড়ল লাল পতাকা।

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর বন্ধ হয়ে যায় সিপিএমের অফিসটিও। পরে ২০১৩ সালে লোকসভা ভোটের আগে দলের কাজকর্ম এখান থেকে পরিচালিত হলেও ভোট পরবর্ত্তী সময়ে ফের বন্ধ হয়ে যায় এই অফিসটি। যদিও সেই সময় শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণে অফিস খোলা যাচ্ছে না বলে সিপিএমের তরফে অভিযোগ তোলা হয়।

এদিন ফের দলের প্রাক্তন মন্ত্রী মোহন্ত চ্যাটার্জি কে সামনে রেখে পার্টি অফিস খুলল সিপিএম। অনেক দিন পর বাঁকড়া এলাকার এই বাড়িতে উড়ল লাল পতাকা। উজ্জ্বীবিত সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। দলের নেতা মোহন্ত চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, এবার শাসক দল সন্ত্রাসের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে এই পার্টি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় ও পরিস্থিতি দুই বদলাচ্ছে। সেটা বুঝতে পারছে শাসক দল। তৃনমূল কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে, বিজেপি দুর্বল হচ্ছে। মানুষ আবার বামপন্থীদের ও লাল ঝান্ডার উপরে ভরসা রাখছেন। তিনি আরো জানান বাঁকড়া এলাকায় তিনটি গ্রামপঞ্চায়েতে যে পরিমান দুর্নীতি হয়েছে ও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে যেভাবে দুর্নীতি করেছে শাসক দল মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে এদের উপরে। তাই দলীয় কর্মী সহ দলের সমর্থক দরদীরা আজকে সমবেত হয়ে এই কার্যালয় আবার চালু করেছেন।

এই প্রসঙ্গে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নুরাজ মোল্লা জানান তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। তারা কখনো অন্যের পার্টি অফিস দখল করা ও বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। তিনি আরো দাবি করেন ডোমজুড়ের বিধায়ক বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী তাদেরকে কখনো শেখায়নি অন্যের পার্টি অফিস বন্ধ করে দিতে। তাই সিপিএমের পার্টি অফিস তারা খুলবে বা খুলবে না সেটা তাদের দলীয় বিষয়।