অবতক খবর,১২ মার্চ,নদীয়া:- নদীয়া রানাঘাট চন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুস্মিতা বিশ্বাসের বিবাহ হয়েছিল বছর আটেক আগে, তার একটি শিশু কন্যাও আছে 5 বছরের। এমত অবস্থায় স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে সে বাপের বাড়িতেই থাকতো দীর্ঘদিন যাবত। রানাঘাট গাজীপুরের ব্রজেন নায়েকের ছেলে কৃষ্ণগোপাল নায়েকের সাথে তার পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। কন্যা সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে সে বিয়ে করতে চায় সুস্মিতাকে। আর এই সুবাদে মাঝেমধ্যেই সুস্মিতার বাড়িতে কৃষ্ণ গোপাল এবং কৃষ্ণ গোপালের বাড়িতে সুস্মিতা যাতায়াত ছিলো বলে দাবি করেছে সুস্মিতার পরিবার।

এরপর সুস্মিতার বাড়ির পক্ষ থেকে বিবাহের জন্য প্রশ্ন করলে সে নানান অজুহাতে এড়িয়ে যেত। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণ গোপালের সাথে বেশ কয়েকবার সহবাস করেছে বলেই জানিয়েছে সুস্মিতা। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণ গোপালের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই তার পরিবারের অন্য সদস্যরা চড়াও হয় সুস্মিতার মা বাবার উপর। এ পরিস্থিতির পর কৃষ্ণগোপাল সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত বদল করে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।

যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণ গোপালের পিতা ব্রজেন নায়েক তিনি বলেন, তাদের পরিবারে একটি দিনই এসেছিল ওই মেয়েটি কোন মারধর করা হয়নি বরং আমার ছেলে আমার সামনে তার আগের স্বামীর সাথে ডিভোর্স এর কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলো। তবে ওরা ছোটবেলার বন্ধু এর বেশি কিছু নয়।
রানাঘাট থানায় ঘটনা সবিস্তারে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানায় সুস্মিতা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রানাঘাট থানার পুলিশ।