অবতক খবর,১৮ জুন,শিলিগুড়ি : রবিবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির মধ্যে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনদিকে তিনটি কামরা একদম ডুমড়ে মুছে যায়। একটি কামরা মাল গাড়ির ইঞ্জিনের উপরে উঠে যায়। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রায় ৫০ জনের বেশি এই ঘটনায় আহত রয়েছে যাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এবং ফাঁসি দেওয়া হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী তিনি নিজে ঘটনার তলে এসে দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করেছেন এবং তিনি নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুততার সাথে ঘটনার তদন্ত করার।
পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন এবং যারা আহত রয়েছে তাদের সাথে দেখা করেন। এরপর একে একে রাজ্যপাল এবং বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তিনিও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন এবং আহতদের সাথে কথা বলেন পাশাপাশি ডাক্তারদের সাথেও তারা কথা বলেছেন যাতে দ্রুততার সাথে তাদের চিকিৎসা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।।
সোমবার সকাল থেকেই আপ লাইনে রেল চলাচল শুরু হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হাওড়া গামী শতাব্দী এক্সপ্রেস তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে এছাড়াও বেশ কয়েকটি মালগাড়ি ও আপলাইন দিয়ে চলাচল করেছে।
চিপ সেফটি কমিশনার জেঙ্ক কুমার গর্গের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে রেলের সেফটি কমিশনের বেশ কিছু আধিকারিক এসে পৌঁছো। মূলত কি কারনে এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মূলত জানা যাচ্ছে রবিবার সকাল ৫ঃ৫০ মিনিট থেকে রেলের অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা কাজ করছিল না। সেই কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়িকে লোকো পাইলটকে TA 912 ফরম দেওয়া হয়েছিল।
যেমনটা জানা যাচ্ছে নিয়ম মেনেই কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস এর লোকো পাইলট রেলকে আগেই নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রেল সূত্রে যা জানা যাচ্ছে মাল গাড়ির লোকো পাইলট অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি নিয়ে আসে কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছনে সজরে ধাক্কা মারে, যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেই প্রাথমিক সূত্রে জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার বিষয় আরো বেশিরভাগ তথ্য উঠে এসেছে যেমনটা জানা যাচ্ছে এনজিপি থেকে মালগাড়ি আগে বেরিয়ে এসেছিল পরবর্তীতে পেছন থেকে আসে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস কিন্তু রাঙ্গাপানি স্টেশনে মাল গাড়িকে লুপ লাইনে দিয়ে দেওয়া হয় সেই সময় মেন লাইন দিয়ে কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস কে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস রাঙ্গাপানি স্টেশন ছাড়ার প্রায় আধাঘন্টা পর সেখান থেকে মালগাড়ি ছাড়ে বলে জানা গিয়েছে মালগাড়িতে থাকা কর্মরত গার্ডের মারফত। এরপরই রাঙ্গাপানি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।