অবতক খবর,১২ এপ্রিল: দু’ দিন পরেও দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় রোপওয়ের ৫টি ট্রলির ভিতরে এখনও আটকে ১১ জন পর্যটক। ওই এলাকায় কুয়াশা থাকায় উদ্ধারকাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি। এরই মধ্যে ট্রলি ও ড্রোনের মাধ্যমে আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে বায়ুসেনা। এদিন সকালে ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।
রোপওয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার। ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন ৮ জন। সূত্রের খবর, ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়েতে প্রাথমিক ফেঁসে ছিলেন ৪৮ জন যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বায়ুসনার হেলিকপ্টারের। তবে সূত্রের খবর, প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে, তাই স্থির থাকতে পারছে না হেলিকপ্টার, সেই কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। যাঁরা রোপওয়েতে আটকে রয়েছেন,তাঁদের কাছে জল নেই।
তাঁদের কাছে জল পৌঁছোনোই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মাটি থেকে ৮০০ মিটার উঁচুতে ওই রোপওয়েতে ফেঁসে আছেন বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পর্যটকরা।