অবতক খবর : গতকাল নৈহাটির দেবকে বাজি বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হওয়ার পর বাজি কারখানার মালিক নুর হোসেন গ্ৰেপ্তার হয়। এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জন্য কে বা কারা দায়ী তা দেখতে পাঁচ জনের একটি ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে যান। ডাঃ দেবাশীষ সাহা সিনিয়র ফরেন্সিকের নেতৃত্বে ৫ জনের ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।
ডাঃ দেবাশীষ সাহাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,যা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা সব ল্যাবরেটরিতে যাবে এবং এরপরই বলা যাবে যে কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থ সেখানে ছিল কিনা। সেখানে কোন আরডিএক্স ব্যবহৃত হয়েছিল কিনা এই প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। গতকালের ঘটনায় দেবকের গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করেন।৭৩ নং হাবড়াগামী বাস রুট অবরোধ করেন তারা।
নৈহাটি থানার পুলিশ এই অবরোধ তুলতে আসলেই অবরোধ উঠে যায় তখনকার মত। কিন্তু তার মিনিট দশেকের মধ্যেই আবার পথ অবরোধ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের দাবি একটি ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার নিয়ে এসে বলা হয় যে,দেবকে কোন বাজি কারখানা থাকবে না বলে মুচলেকা দিতে হবে থানার পুলিশ অফিসারকে। কিন্তু কর্তব্যরত নৈহাটি থানার পুলিশ অফিসার জানান, তিনি এরকম কোন মুচলেকা দিতে পারবেন না।কারণ ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলে গেছেন,দেবকে কোন বাজি কারখানা থাকবে না।
স্থানীয়দের জীবিকা নির্বাহের কোন বিকল্প কোন ব্যবস্থা করবেন। সে বিষয়ে তিনি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। যদিও পরে বিশাল র্্যাফ এসে বিনা লাঠি চার্জেই অবরোধ উঠে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এখানে যা হচ্ছিল তা পুলিশ সবই জানে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে শুরু করে থানা প্রশাসন সকলেই পয়সা খায়। এ প্রসঙ্গে নৈহাটি পুলিশ অফিসারদের প্রশ্ন করা হলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।