অবতক খবর,১৪ মার্চ: দেশজুড়ে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে তার সঙ্গে সামাজিক জীবনযাত্রাকে ব্যতিব্যস্ত এবং বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফ্যাসিবাদের চলমান পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে ভারতবর্ষ জুড়ে। সাম্প্রদায়িক সংহতি বিনষ্ট করার এক গৈরিক চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দিল্লিতে যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠেছে। কেবলমাত্র ভারতবর্ষে নয়, আন্তর্জাতিকেও এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লির ঘটনাকে দাঙ্গা বলে যেভাবে অভিহিত করা হচ্ছে, আসলে তা নয়। তাকে বলা যায় জেনোসাইড বা গণহত্যা। দাঙ্গায় প্রতিপক্ষ থাকে। এখানে একটিই পক্ষ। ফলত, ভারতীয় মানব জীবন সংকটের মুখে।
এই পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মীরা যারা নাটক,গান, কবিতা, আবৃত্তি বিভিন্ন শিল্পের সঙ্গে জড়িত তাদের সম্মিলিত উদ্যোগে একটি মিছিল পরিচালিত হল শ্রীলক্ষ্মী সিনেমা অঞ্চল থেকে শুরু করে গান্ধী মোড় হয়ে সার্কাস ময়দান পর্যন্ত।
যেহেতু দিল্লির ঘটনায় একটি দুঃখ,শোক ও যন্ত্রণার আবহ সৃষ্টি হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে বিপন্ন পরিবেশ, ফলত মিছিলটিতে তেমন সোচ্চার কোন ধ্বনি ছিলনা। মিছিলকারী শিল্পীরা নিজেদের বুকে বিভিন্ন কবিতা, বিভিন্ন বক্তব্যের প্ল্যাকার্ড সাঁটিয়ে বিভিন্ন কবিতা গান পরিবেশন বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথকে প্রাধান্য দিয়ে সেই মিছিলে চলমান করে তোলেন।
প্রায় পঁচিশটি সংগঠন এতে যুক্ত হয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা কাঁচরাপাড়ার জনজীবনের ইতিহাসে। তারা মিছিল থেকে জানিয়ে দিয়েছে যে, সাংস্কৃতিক কর্মীরা ময়দানে আছে। তারা চলমান পদাতিক। তাদের যে সমস্ত কর্মকাণ্ড রয়েছে তার মধ্য দিয়েই এই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিরুদ্ধে তারা লড়াইকে সক্রিয় রাখবেন।