ধর্ষণ কত প্রকার এনিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোন ধর্ষণকে সমর্থন করবেন কবিরা ও রাজনৈতিক দলেরা বা বিরোধিতা করবেন সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু নারীরা ধর্ষিতা হলো এবং খুন হলো
ধর্ষণ কত প্রকার
তমাল সাহা
কে কি বলছে সেসব রাখো খেয়াল।
এরা সব মাতব্বর,শাসক আশ্রিত শেয়াল।
তাপসীর ধর্ষণে অনেকেই মুখ খুলেছে,
কামদুনির বেলায় খোলেনি।
মধ্যমগ্রামের দেহাতী মেয়েটির বেলায়
তারা মোমবাতি জ্বালেনি।
কাটোয়া,খরজুনা, পার্ক স্ট্রিট, রানাঘাট
মালদহের বেলায় চুপ,
চুপ কালীঘাটের ঘটনায়।
মুখ সরব, সোচ্চার তখন যখন ঘটনা ঘটে অন্য রাজ্যপাড়ায়।
বঙ্গোপসাগরীয় বাতাসে
শাসক আশ্রিত কবিরা ধৃতরাষ্ট্র-অন্ধ!
মেরুদন্ড বেঁকে গেছে—
আছে শুধু স্কন্ধ-কবন্ধ!
নিষ্ঠুরতার কোন সীমা নেই।
সে হোক না বঙ্গ উত্তরপ্রদেশ তেলেঙ্গানা বা দিল্লী।
বড় বড় কবিদের বড় বড় জাত,
ভূষণ মোহরে মৌতাত।
এবার উন্নাওয়ের ঘটনায়
দীর্ঘ কবিতায় করবে চিল্লাচিল্লি।
তার মানে ধর্ষণও দুই প্রকার—
নিজ রাজ্যে হলে ছোট,
অন্য রাজ্যে হলে বড়ো।
নিজের রাজ্যে হলে ঘটনা সাজানো
পর রাজ্যে হলে কাজ হলো
বিদ্রূপের বাঁশি বাজানো।